এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির সাথে স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায় আমাদের মস্তিষ্কের বয়স। খেয়াল করে দেখবেন, ছোটবেলায় খুব সহজেই যেকোন কিছু আমরা মনে রাখতে পারতাম। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর সামান্য কোন বিষয় মনে রাখাটাও দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশোর্ধ অনেকের স্মৃতিশক্তিই দারুণ প্রখর। সহজে ভুলে যাওয়ার সমস্যা নেই তাদের। এমনটা হওয়ার পেছনের কী কারণ থাকতে পারে!
সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনের কিংস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অফ এক্সটার নতুন একটি গবেষণায় চমৎকার একটি বিষয় খুঁজে পেয়েছে। গবেষকেরা ৫০ বছর বয়স্ক প্রায় ১৯,০০০ জন মানুষের মানসিক তৎপরতার উপর পরীক্ষা করে লক্ষণীয় একটি আবিষ্কার করেছে।
যারা ওয়ার্ড পাজল বা শব্দ ধাঁধা সমাধানের সাথে সংযুক্ত ছিলেন, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ আসল বয়সের চাইতে প্রায় ১০ বছর কম বয়স্কদের মতো হয়ে থাকে। এছাড়া যারা ব্যাকরণগত যুক্তির সাথে সংযুক্ত, তাদের মস্তিষ্ক কাজ করে আসল বয়সের চাইতে প্রায় আট বছর কম বয়স্কদের মতো।
নানান পরীক্ষা ও তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, যারা নিয়মিত ওয়ার্ড পাজল তথা ক্রসওয়ার্ড এর সাথে সংযুক্ত থাকেন, তাদের মনো সমবয়সী অন্যান্যদের চাইতে প্রাণবন্ত ও জীবন্ত থাকে।
গবেষণা ও গবেষণার প্রধান ডা. অ্যানি করবেট বিশ্লেষণ করে জানান, যারা নিয়মিত শব্দ ধাঁধার সমাধান করেন তাদের মস্তিষ্কের কিছু অংশে আলাদাভাবে উন্নতি ঘটে ও কাজ করে। ফলে বয়সের চাইতে স্লথভাবে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি ঘটে। এতে করে শারীরিক আসল বয়সের চাইতে মস্তিষ্কের বয়স গড়ে আট-দশ বছর কম হয়ে থাকে বা সেইভাবে কাজ করে।
তবে তিনি আরও যোগ করেন, এই অভ্যাসটি মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধির হার কমিয়ে দিতে পারলেও ডিমেনশিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারবে, এমন কোন প্রমাণ তার কাছে নেই।
তবে এটা খুব পরিষ্কারভাবেই জানানো যায়, মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম ও সচল রাখতে ওয়ার্ড পাজলের মতো বুদ্ধিদীপ্ত খেলার তুলনা নেই। যেকোন বয়সীর জন্যেই এই খেলা থেকে মস্তিষ্কের উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ‘বাবল বয়’ রোগ সারাতে এইচআইভি!
আরও পড়ুন: টাকা নয়, সুখী হতে প্রয়োজন শরীরচর্চা!