পোলাও, রোস্ট, কাবাব কিংবা রেজালা থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি মশলাদার ঝাল খাবারেই দেওয়া হয় পেঁয়াজের তৈরি বেরেস্তা। এই বেরেস্তা রান্নার স্বাদে যেমন বাড়তি ফ্লেভার আনে, তেমনিভাবে খাবারের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে।
কিন্তু প্রতিটি খাবারের জন্য বেরেস্তা তৈরি করতে বেশ অনেকটা সময় চলে যায়। ঈদের আগে পরিমাণমতো বেরেস্তা তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারলে কষ্ট কমে যাবে অনেকটা। এছাড়া কীভাবে মুচমুচে বেরেস্তা তৈরি করতে হয়, তার সঠিক রেসিপিটি জানা না থাকলেও সমস্যায় পড়তে হয়। আজকের রেসিপিতে সেটাই জানানো হলো।
১. ১২-১৫টি বড় আকৃতির পেঁয়াজ।
২. আধা কাপ পরিমাণ সয়াবিন তেল।
পেঁয়াজ ধুয়ে নিয়ে বেরেস্তা তৈরির মতো কুঁচি করে কেটে নিতে হবে এবং কড়াইতে তেল দিয়ে মাঝারি জ্বালে তেল গরম করতে হবে। তেল যদি গরম না হয় তবে বেরেস্তা ঠিকমতো তৈরি হবে না।
তেল গরম হওয়ার আগেই তেলে পেঁয়াজ দিয়ে দিলে পেঁয়াজ তেল শুষে নেবে এবং ঠিকমতো মুচমুচে হবে না। তবে তেল অতিরিক্ত গরম করা যাবে না। একদম প্রয়োজন অনুযায়ী গরম করতে হবে।
তেলে বুদবুদ দেখা দিলে পেঁয়াজ কুঁচিগুলো ছেড়ে দিতে হবে। খুন্তির সাহায্যে নেড়েচেড়ে দিতে হবে যেন কড়াইতে পেঁয়াজ না ধরে যায়।
পেঁয়াজের রঙে পরিবর্তন আসলে এতে খুব অল্প পরিমাণ চিনি ছিটিয়ে দিতে হবে। চিনি পেয়াজের বেরেস্তা মুচমুচে করতে সাহায্য করে ও এতে বাড়তি স্বাদ যোগ করে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, চিনি দেওয়ার ফলে পেয়াজে খুব দ্রুত রঙ পরিবর্তন হয়। তাই চিনি দেওয়ার পর খুব বেশি সময় তেলে পেঁয়াজ রাখা যাবে না।
পেঁয়াজের বেরেস্তায় কাঙ্ক্ষিত রঙ আসলে চুলার জ্বাল কমিয়ে তেল থেকে পেঁয়াজ তুলে নিতে হবে এবং কিচেন টিস্যু পেপারের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে করে বেরেস্তায় থাকা বাড়তি তেল টিস্যু শুষে নেবে। তবে বেরেস্তা সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত বেরেস্তা বাক্সে রাখা যাবে না। নয়তো গরম ভাপে বেরেস্তা নরম হয়ে যাবে।
এভাবে পেঁয়াজের বেরেস্তা তৈরি করলে তিনদিন পর্যন্ত একদম মুচমুচে থাকবে বেরেস্তা।
আরও পড়ুন: যেভাবে তৈরি করবেন মুচমুচে বেগুনি
আরও পড়ুন: অল্প সময়ে চিংড়ির ঝাল মালাইকারি