নিজ বাসাতে তো বটেই, আত্মীয় পরিজনদের বাসা কিংবা রেস্টুরেন্টেও খাওয়া হয় পছন্দসই খাবার। সেমাই, পায়েস, পুডিং, চটপটি, নুডলস, পোলাও, খিচুড়ি, রোস্ট, রেজালা, কোরমা, কালা ভুনাসহ আরও কত ধরনের খাবার। নাম বলে শেষ করা সম্ভব নয় একেবারেই।
ঈদের খাওয়া বলে কথা। যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, একটু হলেও খেতে হয়। অনেক সময় ক্ষুধা মিটে গেলেও মন যেন ভরতেই চায় না। সুস্বাদু খাবারের লোভ এড়িয়ে যাওয়া এতোটাও সহজ কিছু নয়।
এমন ক্ষেত্রে প্রায়শ যে সমস্যাটি হয় তা হলো ওভারইটিং করে ফেলা। যতটুকু খাবার স্বাভাবিক অবস্থায় খাওয়া হয় ও উচিৎ, তার চাইতে অনেক বেশি খেয়ে ফেলা। এই ওভারইটিং এর ফলে মনে হয় গলা পর্যন্ত খাওয়া হয়ে গেছে। এক লোকমা খাবার খাওয়াও যেন দুঃসাধ্য বিষয়।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, ওভারইটিং এর অভ্যাসটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। এর ফলে পাকস্থলীর উপরে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয় এবং খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে না। যার দরুন খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি পেটের সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
এবার আসা যাক বেশি খেয়ে ফেললে কী করতে হবে সেই আলোচনায়। যদি মনে হয় বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে তবে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কিন্তু খাওয়া বন্ধ করার পরেও লম্বা সময় ধরে বেশ হাঁসফাঁশ ও অস্বস্তি কাজ করতে থাকে শরীরে। এই অস্বস্তিভাব দূর করতে ও খাওয়ার দ্রুত হজমে পান করতে হবে দুইটি উপাদানে তৈরি পানীয়।
এই পানীয় তৈরিতে প্রয়োজন হবে লেবুর রস ও পুদিনা পাতা। ৭-৮টি পুদিনা পাতা কুঁচি এবং অর্ধেকটি লেবুর রস আধা গ্লাস অথবা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে এই পানীয়টি পান করতে হবে।
লেবুর রসের অ্যাসিডিক উপাদান পাকস্থলিস্থ খাদ্যকে দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। অন্যদিকে পুদিনা পাতার রস খাবার হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি পেট ফোলা ও ফাঁপাভাব দূর করতে এবং প্রশান্তিভাব তৈরিতে কাজ করে।
ঘরে যদি পুদিনা পাতা না থাকে, তবে পানির সাথে শুধু লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: খোসা ছাড়ানো আলু বাদামি হয়ে যাচ্ছে?
আরও পড়ুন: বাসি পিৎজা গরম হবে চুলাতেই!