ত্বকের নানাবিধ সমস্যার মাঝে র্যাশের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটি খুবই কমন। মূলত অ্যালার্জিজনিত কারণেই ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং চুলকানির সমস্যা তৈরি হয়।
ত্বকের এই সমস্যাটি মানুষভেদে প্রতেককের ভিন্ন ভিন্ন কারণে দেখা দিয়ে থাকে। ত্বকে র্যাশের ধরণ ও তার লক্ষণ প্রায় একই রকম হলেও, র্যাশ তৈরি হওয়ার পেছনে থাকে বেশ কয়েকটি কারণ। যার মাঝে প্রধান চারটি কারণ হলো-
রাবার, বিভিন্ন কেমিক্যাল, মেটাল পণ্যে অনেকের অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ত্বক এমন ধরনের উপাদানের সংস্পর্শে আসলে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে র্যাশ দেখা দেয়।
গান্ধিপোকা, মৌমাছি কিংবা অপরিচিত পোকামাকড়ের কামড়ে কিংবা তার সংস্পর্শে আসলেও র্যাশ তৈরি হয়।
অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় ত্বক তার আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বক তুলনামূলক নাজুক হয়ে ওঠে। এতে করে খুব সহজেই ত্বকে লালচেভাব ও র্যাশ দেখা দেয়।
গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, বেগুন, হাঁসের মাংস, ডিম কিংবা পিনাটবাটারের মতো খাদ্য উপাদানে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। ভুলবশত এমন খাবার খেয়ে ফেললে অ্যালার্জি থেকে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।
যে কারণেই র্যাশের সমস্যাটি দেখা দিক না কেন, নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে যার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। এমন কয়েকটি উপাদানের ব্যবহার জেনে রাখুন।
লেবুর রসের সাথে পোস্তদানা মিশিয়ে র্যাশযুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে।
কয়েকটি তুলসি পাতার সাথে রসুন, লবণ, ও অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঘন ও মসৃন পেস্ট তৈরি হলে র্যাশ ও অ্যালার্জিযুক্ত স্থানে এই পেস্ট লাগাতে হবে।
গোছলের পানিতে এক কাপ পরিমাণ ওটস দিয়ে মিনিট দশেক অপেক্ষা করতে হবে। এরপর এই পানিতে গোছল সেরে নিতে হবে। অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দ্রুত কমাতে এটা খুবই কার্যকরি উপায়।
সমপরিমাণ আমন্ড অয়েল, ক্যামোমাইল তেল ও টি ট্রি অয়েল একসাথে মিশিয়ে র্যাশের স্থানে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের জন্য উপকারী হওয়ায় অ্যালার্জির সমস্যায় ভালো কাজ করে।
চায়ে থাকা ট্যানিন অ্যালার্জি ও র্যাশের প্রাদুর্ভাব কমাতে কাজ করে। হাতের কাছে অন্য কোন উপাদান না থাকলে ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করলে আরাম পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্যে বিশ্রাম ও ঘুম কতটা জরুরি?
আরও পড়ুন: গরমে ঠান্ডার সমস্যা এড়াতে করণীয়