ত্বকের সাথে মানানসই পণ্যের ব্যবহারে নিমিষেই দূর হচ্ছে যাবতীয় সমস্যা। কিন্তু কেমিক্যালযুক্ত এই সকল পণ্যের ব্যবহার যতটা কম করা যায়, ততই ভালো।
এই সকল পণ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। এতে করে উপকার হওয়ার পাশাপাশি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মুক্ত থাকবে ত্বক। প্রাকৃতিক শতেক উপাদানের মাঝে সবচেয়ে পরিচিত, জনপ্রিয় ও উপকারী উপাদানটি হলো অ্যালোভেরার পাতা।
কৌটাবন্দী অ্যালো জেল নয়, প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা পাতার জেল ব্যবহারের কথাই বলা হচ্ছে এখানে। চলুন দেখে নেই সৌন্দর্যচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের কয়েকটি বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার।
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এবং রোদের ক্ষতিকর আলোর প্রভাবে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায়, বলীরেখা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অ্যালোভেরা পাতার মাঝ বরাবর কেটে অ্যালোভেরার জেল মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের সময় নিচ থেকে উপরের দিকে টেনে টেনে নিতে হবে। প্রতিদিন দশ মিনিটের ম্যাসাজেই দুই সপ্তাহের মাঝে ফলাফল পাওয়া যাবে।
শরীরের কোথাও কেটেছড়ে গেলে অ্যালোভেরার পাতা ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরার পাতা বসিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ৩-৪ ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে। অ্যালোভেরার পাতা মাঝ বরাবর কেটে জেলযুক্ত স্থানটি ক্ষতস্থানের উপর বসাতে হবে। অ্যালো জেলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ ক্ষত দ্রুত ভালো করতে কাজ করে।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত লোম দূর করতে রেজরের মাধ্যমে শেভ করাই সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। কিন্তু এর ফলে শেভ করা স্থানে জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব দেখা দেয়। এমন সমস্যা দূর করার জন্য শেভ করা স্থানে অ্যালোভেরা পাতার জেল কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিতে হবে। ১৫ মিনিটের ম্যাসাজেই অস্বস্তিভাব দূর হয়ে যাবে।
ডার্ক সার্কেল চেহারার অনেকখানি সৌন্দর্যকেই মলিন করে দেয়। কিন্তু জেদি ডার্ক সার্কেল এক-দুই দিনের মাঝে ভালো হওয়ার সহজ কোন উপায় নেই। তবে অ্যালো জেল ব্যবহারে ডার্ক সার্কেলের প্রাদুর্ভাব কমানো যায় অনেকখানি। সুতির মোটা ও পরিষ্কার কাপড়ে অ্যালো জেল লাগিয়ে চোখের নিচের অংশে রেখে দিতে হবে আধা ঘণ্টার জন্য। অ্যালো জেলের জাদুকরি প্রভাবে ডার্ক সার্কেল অনেকটাই ফিকে হয়ে আসবে এবং চেহারায় প্রাণবন্তভাব ফুটে উঠবে।
আরও পড়ুন: সৌন্দর্যচর্চায় মধুর চমৎকার চার ব্যবহার