এখনকার সময়ে অল্প বয়সেও অনেকের এই সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে। যার প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার কমতি, দুশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুমসহ নানান অনিয়ম। পুরো বিশ্বজুড়েও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটি প্রকট আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে উচ্চ রক্তচাপের দরুন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় তুলনামূলক অনেকখানি। অর্থাৎ একটি সমস্যা থেকেই দেখা দিতে পারে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
অথচ এই সমস্যাটি চাইলেই অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসকে নিয়মের মাঝে বাঁধতে পারলে। আঁশযুক্ত ফল, সবজি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শুধু উচ্চ রক্তচাপকেই দূরে রাখবে না, সামগ্রিকভাবে শারীরিক সুস্থতাও প্রদান করবে। ফল ও সবজির পাশাপাশি বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিডস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে।
আজকের ফিচারটিতে মূলত উঠে আসবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ফ্ল্যাক্সসিডস চায়ের উপকারিতা। সহজলভ্য এই উপাদানে তৈরি চায়ে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে খাপছাড়া উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটি।
প্রায় একশ গ্রাম ফ্ল্যাক্সসিডস থেকে পাওয়া যাবে ৮১৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। পটাশিয়াম সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাবকে প্রশমিত করতে কাজ করে। এমনকি শরীর থেকে বাড়তি সোডিয়ামকে মূত্রের সাহায্যে বের করে দিতেও সাহায্য করে ফ্ল্যাক্সসিডসে থাকা পটাশিয়াম।
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ফ্ল্যাক্সসিডসে থাকা উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডস হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া খাদ্য আঁশের উপযুক্ত উৎস হলো ফ্ল্যাক্সসিডস, যা রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখতে উপকারী। ফলে এই উপাদানে তৈরি চা পানে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটিকে আয়ত্তে রাখা যাবে অনেকখানি।
উপকারী এই চা তৈরিতে প্রয়োজন হবে এক চা চামচ ফ্ল্যাক্সসিডসের গুঁড়া, এক কাপ পানি ও আধা চা চামচ মধু।
ফুটন্ত পানিতে ফ্ল্যাক্সসিডসের গুঁড়া দিয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর গ্লাসে ঢেলে এতে মধু যোগ করে চায়ের মতো পান করতে হবে। স্বাদ বাড়াতে চাইলে সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে কলা খেলে কী হয়?
আরও পড়ুন: বয়স বাড়লেও সুস্থ থাকবেন মাছ খেলে!