অনেকেই কর্নস্টার্চ ও কর্নফ্লাওয়ার মিলিয়ে ফেলেন, এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না।
দুটিই দেখতে একই রকম, তবে স্বাদে, রঙে ও পুষ্টির দিক থেকে ভিন্ন। হেলথলাইন সংস্থার একটি প্রতিবেদনে এর ভিন্নতা ও কার্যকারিতা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
বেকিং সোডার স্বাদ নেই। তবে, কর্নফ্লাওয়ার প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদযুক্ত।
রুটি ও কেক তৈরি করতে গমের আটার সাথে কর্ণফ্লাওয়ার মেশানো হয়, যেটি কার্বোহাইড্রেটের সাথে মিষ্টি স্বাদ যুক্ত করে।
অন্যদিকে কর্নস্টার্চ ব্যবহার করা হয় খাদ্য ঘন ও ভারি করতে।
কর্নস্টার্চ ভুট্টার শাঁসের এন্ডোস্পার্ম থেকে নেয়া হয় এবং প্রক্রিয়াজাতের পরে সাদা রঙের হয়ে থাকে।
এদিকে কর্নফ্লাওয়ার ভুট্টার সম্পূর্ণ শাঁস থেকে নেয়া হয়, এতে ফাইবার, প্রোটিন স্টার্চসহ, ভুট্টার সবধরনের পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া এটি কিছুটা হলুদ বর্ণ হয়।
কর্নফ্লাওয়ারে ২২ গ্রাম শর্করা এবং ৩ গ্রাম প্রোটিনে মোট ১১০ ক্যালরি রয়েছে। এছাড়া ২৯ গ্রামের মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার এবং ১.৫ গ্রাম ফ্যাট।
কর্নস্টার্চে ১২০ ক্যালরি ও ২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এতে ভিটামিন বি নেই এবং ম্যাগনেসিয়াম, আইরন ও পটাশিয়াম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে কর্নস্টার্চকে কর্নফ্লাওয়ার বলা হয় এবং কোনো যুক্তি ছাড়াই কর্নফ্লাওয়ারকে কর্নখাবার বলা হয়। কিন্তু রান্নার মাধ্যমে কোনটি কি কাজ তা বের করে নেয়া হয়। তবে আমরা কর্নস্টার্চকে বেকিং সোডা ও কর্নফ্লাওয়ারকে ভুট্টার গুঁড়া বলে চিনে থাকি।
দুইটিই ভুট্টার উপাদান, তাই দুইটির ব্যবহার একত্রে করা যায়না। দুইটিই ভিন্ন ভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা হয়। যেমন-
কর্ণফ্লাওয়ার আঠালো নয়, এতে সহজে গমের বা আটার দলা হয় না এবং প্রয়োজনের থেকে বেশি ঘন হয়।
সস, স্যুপ, তরকারী ঘন করতে কর্নস্টার্চ ব্যবহার করা হয়। এটি ঠাণ্ডা তরল খাদ্যে মেশানো ভালো, কারন গরমে তরলে তা দলা হয়ে যেতে পারে।
কর্নস্টার্চ ও কর্নফ্লাওয়ার দুইটির গুঁড়া করা হয় ও রান্নার বিভিন্ন কাজে এই গুঁড়াই ব্যবহার করা হয়। দুইটিই ভিন্ন স্বাদ ও ভিন্ন কাজ করে থাকে, একত্রে দুইটি ব্যবহার করলে খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার: মিলের মাঝেও যত অমিল
আরও পড়ুন: বেকিং সোডার চমৎকার ছয় ব্যবহার