এ কারণে বাসায় অতিথিও আসছে হরহামেশাই। যত যাই হোক না কেন, কোরবানির ঈদে মাংসের পদ যদি না থাকে, তবে খাবারের আয়োজনে একেবারেই পূর্ণতা আসে না। কালাভুনা, রেজালা বা রোস্টের মতো ভারি ঘরানার মাংসের পদের বাইরে একটু হালকা ঘরানার মাংসের মুখরোচক রেসিপি রাঁধতে চাইলে তৈরি করতে পারেন কাটা মসলার মাংসের ঝোল।
পোলাও বা খিচুড়ি তো বটেই, গরম ভাত কিংবা পাতলা রুটির সাথেও দারুণ মানাবে এই খাবারটি।
১. এক কেজি মাংস।
২. ছয়টি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
৩. চার কোয়া রসুন।
৪. দুই ইঞ্চি পরিমাণ আদা।
৫. ৫-৬টি কাঁচামরিচ।
৬. ২০০ গ্রাম পরিমাণ টকদই।
৭. দুই টেবিল চামচ সরিষা তেল।
৮. দুই টেবিল চামচ ঘি।
৯. স্বাদমতো লবণ।
১০. ৬-৮টি শুকনা মরিচ।
১১. পাঁচটি লবঙ্গ।
১২. পাঁচটি গোলমরিচ।
১৩. চারটি এলাচ।
১৪. দুই ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি।
১৫. এক টেবিল চামচ চিনি।
১৬. এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
১৭. এক চা চামচ কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া।
১৮. দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল।
১৯. দুইটি তেজপাতা।
১. মাংসের টুকরাগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকনা মরিচ, লবঙ্গ, গোলমরিচের গুঁড়া, এলাচ, দারুচিনি, চিনি, হলুদ গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ পাউডার, পেঁয়াজ কুঁচি, আদা, রসুন, কাঁচামরিচ ফালি ও সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মেরিনেট করতে হবে। মুখবন্ধ পাত্রে মেরিনেট করা মাংস রেখে ডিপ ফ্রিজে আট ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।
২. রান্নার জন্য কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে এতে তেজপাতা, শুকনা মরিচ, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ, দারুচিনি ও এলাচ দিতে হবে। মসলা থেকে গন্ধ ছাড়লে এতে মেরিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে দিতে হবে। অবশ্যই রান্না জন্য ডিপ ফ্রিজ থেকে ঘন্টা দুয়েক আগে মাংস বের করে রাখতে হবে।
৩. খুন্তির সাহায্যে মসলা ও মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী লবণ দিতে হবে এবং পাত্রের মুখ বন্ধ করে অল্প আঁচে পনের মিনিট চুলায় রাখতে হবে।
৪. এবারে ঢাকনা খুলে টকদই দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে পুনরায় পাত্রের মুখ বন্ধ করে অল্প আঁচে ঘন্টাখানেকের জন্য রেখে দিতে হবে। তবে পাত্রের নিচে যেন মাংস ধরে না যায় সেজন্য কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে দিতে হবে। এ সময়ের মাঝে মাংস থেকেই প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে মাংস সিদ্ধ হবে। তবে যদি প্রয়োজন হবে সেক্ষেত্রে এক কাপ গরম পানি দিতে হবে।
৫. মাংস প্রয়োজন অনুযায়ী নরম হয়ে আসলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: খাসির মাংসের ঘি রোস্ট
আরও পড়ুন: পায়ায় তৈরি মুখরোচক নেহারি