এর সাথে বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতিও নজর রাখা প্রয়োজন। নতুন নিত্যদিনের ছোটখাটো ভুল থেকেই একটা সময় পর দেখা দিতে পারে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা। যার মাঝে উপরের সারিতে রয়েছে কিডনিজনিত সমস্যা দেখা দেওয়া।
আপনার পছন্দের প্যাকেটজাত খাবার অথবা ঘনঘন পেইন কিলার গ্রহণের মতো খুব সাধারণ অভ্যাসগুলো বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে কিডনির। নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে জেনে নিন, আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কোন অভ্যাসগুলো কিডনির জন্য হয়ে উঠছে ভয়াল।
এটা নতুন কোন তথ্য নয় যে, প্রায় সকল প্যাকেটপজাত মুখরোচক খাবারেই রয়েছে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ কিডনির উপরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। আমাদের গ্রহণকৃত সোডিয়াম মূত্রের সাহায্যে বের হয়ে যায় এবং বাড়তি সোডিয়াম কিডনিতে জমে থাকে। যা পরবর্তীতে কিডনি স্টোন বা পাথরে পরিণত হয়। আমরা প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের কার্ব বা ফ্যাট গ্রহণের মাত্রার দিকে নজর দেই। এর সাথে সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রার দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়া জরুরি।
ব্যস্ততার জন্য প্রায় দিনই পানি পান করা একেবারেই অল্প পরিমাণে। যেখানে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা প্রয়োজন, সেখানে যদি ৪-৫ গ্লাস পানি পান করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়বে। শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে তা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপের ক্ষেত্রে কিডনি খুবই স্পর্শকাতর। এতে করে কিডনির কার্যকারিতার হার অনেকখানি কমে যায়। তাই ব্যস্ততা থাকলেও, পানি পান করায় কোন ছাড় দেওয়া যাবে না।
সামান্য কোন ব্যথাভাব বা শরীরে প্রদাহ দেখা দিলেই অনেকেই পেইন কিলার খেয়ে ফেলেন। ঘনঘন পেইন কিলার গ্রহণের এই অভ্যাসটি সরাসরি কিডনির উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। বেশিরভাগ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস কিডনিতে রক্তপ্রবাহের মাত্রা কমিয় দেয়। ফলে এই সকল ওষুধ ব্যথাভাব প্রশমিত করার পাশাপাশি কিডনির ক্ষতি করে ফেলে।
বাড়তি ওজন কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু নয়। অতিরিক্ত ওজন যেমন টাইপ-২ ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, তেমনিভাবে বাড়ায় কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা এবং এই দুইটি সমস্যা একে-অপরের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীর কিডনিজনিত জটিলতা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে একজন সুস্থ মানুষের চাইতে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি।
আপনি যদি মনে করেন ধূমপানে শুধু ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি আছে, তবে খুব ভুল ধারণা নিয়ে বাস করছেন আপনি! ধূমপানের ফলে ফুসফুসের মতো একই মাত্রার ঝুঁকিতে থাকে কিডনি। ২০১২ সালের একটি গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে, ধূমপান ত্যাগের ফলে কিডনিজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কিডনি সুস্থ রাখবে ‘পাঁচ নিয়ম’
আরও পড়ুন: কিডনি সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খেতে হবে