এতে করে অলক্ষ্যে দেখা দিচ্ছে নখের নানাবিধ সমস্যা। প্রতিদিনের এঁটো থালাবাসন ধোওয়া, কিংবা প্যাকেট থেকে স্কচটেপ তোলার মতো বিষয়গুলোও নখকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আজকের ফিচারে এমন কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করা হলো, যা নখের জন্য ক্ষতিকর।
নখ সাজাতে নেইলপলিশ ব্যবহার করার পর মনে করে অবশ্যই তিনদিনের মাথায় নেইলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করে নেইলপলিশ তুলে ফেলতে হবে। নেইলপলিশের কেমিক্যাল দীর্ঘসময় ধরে থাকার ফলে নখের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। ফলে নখ হলদেটে ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
সারাদিনের সব কাজ তো বটেই, প্রতিটি জিনিস ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় হাতের ব্যবহার। এতে করে হাতের সাথে নখের ভেতরেও ময়লা প্রবেশ করে। প্রতিদিন নিয়মিত ও সঠিক নিয়ম মেনে হাত পরিষ্কার করা না হলে নখের ভেতরের ময়লাগুলো রয়ে যায়। এতে করে নখের ভেতরে ইনফেকশন দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
ক্যান খোলার জন্য, স্ট্যাপলারের পিন খোলার জন্য, স্কচটেপ তোলার জন্য সবচেয়ে ভালো টুলস বা যন্ত্রটি হলো নখ। এই সকল ক্ষেত্রে নখের ব্যবহার নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে করে খুব সহজেই নখ ভেঙে যায় অথবা গুরুত্বর ক্ষেত্রে নখ উঠে যায়।
নিত্যদিন অপরিষ্কার থালাবাসন ধোওয়া একেবারেই সাধারণ একই কাজ। অথচ এই কাজটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করা হয় গ্লভসবিহীনভাবে। এতে করে সাবান ও ডিশ ওয়াশার নখের ভেতর প্রবেশ করে নখকে দুর্বল করে দেয়। কিছুক্ষেত্রে নখের ভেতরে জমে থাকা সাবানের কণা নখের ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। দুই হাতের প্লাস্টিকের গ্লভস এখন খুবই সহজলভ্য। তাই গ্লভস ব্যবহার করেই থালাবাসন পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
হৃদযন্ত্র, কিডনি কিংবা সুস্থ চুলের জন্য যেমন খেয়াল রেখে উপকারী খাদ্য উপাদান গ্রহণ করা প্রয়োজন, একইভাবে নখের জন্যেও প্রয়োজন সঠিক পুষ্টিগুণ। নখকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে চাইলে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার তথা ডিম, কচুশাক, গরুর মাংস, কলিজা খেতে হবে। এছাড়া রান্নায় ও সকালের নাশতায় রাখা যেতে পারে ফ্লাক্সসিডস অয়েল।
আরও পড়ুন: নখ কাটতে হবে সঠিক নিয়মে
আরও পড়ুন: ঘরেই নিন হাতের নখের পরিচর্যা