যেকোন খাবার রান্নায় লবণ আবশ্যিক এক উপাদান। লবণ ছাড়া কোন রান্না খাওয়ার যোগ্য হয় না একেবারেই। রান্নায় তো বটেই, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় এই জিনিসিটি ঘরোয়া বিভিন্ন কাজেও ব্যবহার করা যায় খুব চমৎকারভাবে। জেনে নিন ঘরোয়া বেশ কিছু কাজ সহজ করতে লবণের ব্যবহার।
প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে সিংক ময়লা হয়ে যায়, জং ধরে যায় অথবা সিংক তার উজ্জ্বলতা হারায়। এই সমস্যার সমাধান হবে লবণ ব্যবহারে। ভেজা সিংকে লবণ ছিটিয়ে ব্রাশের সাহায্যে কিছুক্ষণ ব্রাশ করে নিতে হবে। ব্যস দশ মিনিটেই সিংক ঝকঝকে।
সিংকের লাইন বন্ধ হয়ে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এই সমস্যাটি থেকে পরিত্রাণের জন্য লবণ মিশ্রিত গরম পানি সিংকের লাইন দিয়ে ধীরে ঢালতে হবে। এতে সহজেই লাইন পরিষ্কার হয়ে যাবে।
লোহার যেকোন আসবাব বা যন্ত্রতে খুব সহজেই জং ধরে যায়। জংযুক্ত আসবাবের জন্য উপযুক্ত উপাদান হলো লবণ। গরম পানি ও লবণ একসাথে মিশিয়ে জং ধরা পাত্রের উপরিভাগে ভালোভাবে ঘষতে হবে এবং কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে সহজেই জং উঠে যাবে।
কফি কাপ থেকে কফির বাদামী দাগ তুলতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে হোয়াইট ভিনেগার ও লবণের মিশ্রণ। এই মিশ্রণ যেকোন আসবাব থেকে কফির জেদি দাগ সহজেই তুলে ফেলবে।
কিছুদিন ব্যবহারের পরেই কাঠের আসবাবে পুরনো দাগ বসে যায়। কাঠের আসবাবকে নতুনের মতো চেহারা দিতে ব্যবহার করতে হবে লবণ ও ভেজিটেবল অয়েলের মিশ্রণ। পরিষ্কার কাপড়ে এই মিশ্রণ মাখিয়ে কাঠের আসবাবের উপরে ঘষতে হবে। এরপর শুকনো ও পরিষ্কার ভিন্ন কাপড়ের সাহায্যে পুনরায় মুছে নিলেই নতুনের মতো চকচকে হয়ে উঠবে পুরনো কাঠের আসবাব।
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম হলে পোশাকে ঘামের দাগ বসে যায়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দাগযুক্ত পোশাকটি লবণ মিশ্রিত পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে এরপর সাবানের সাহায্যে দুয়ে ফেলতে হবে। লবণ পোশাকে বসে যাওয়া ঘামের দাগ দূর করতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বহু উপকারিতার টি ট্রি অয়েল
আরও পড়ুন: পোশাক থেকে রক্তের দাগ কীভাবে উঠবে?