রিবফ্লাভিন, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, প্যানটথেনিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ সহ অসংখ্য মিনারেল সমৃদ্ধ লেবু খাবারের সাথে তো বটেই, সকালে এই লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান খুবই ভালো একটি অভ্যাস।
তাইতো সুস্থ থাকার খুব সহজ এই অভ্যাসটি অনেকেই রপ্ত করে নেন। কিন্তু লেবু পানি সঠিক উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া হয় কি? একেবারে সাধারণ লেবু পানি তৈরিতেও জরুরি একটি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন লেবু থেকে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য।
লেবু পানি তৈরির ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই একই নিয়ম মেনে তৈরি করে এই পানীয়টি। ব্যতিক্রম বা সঠিক পদ্ধতির খোঁজ করা হয় না কখনোই। ফলে লেবুর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়ার বদলে পাওয়া যায় অর্ধেক বা তার কিছু বেশি পুষ্টি। সাধারণত লেবু পানি তৈরির ক্ষেত্রে পানিতে লেবুর রস নিংড়ে নেওয়া হয় এবং লেবুর খোসা ফেলে দেওয়া হয় এবং এখানেই ভুলটা হয়। কারণ লেবুর খোসায় থাকে পর্যাপ্ত ও অন্যান্য নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা।
লেবু পানি তৈরির ক্ষেত্রে পছন্দসই ঠাণ্ডা বা গরম পানিতে লেবুর রস নিংড়ে এতে লেবুর খোসাও যোগ করতে হবে। লেবুর খোসা যোগ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই লেবু ভালোভাবে পরিষ্কার করে খোসা ছোট টুকরা করে কেটে কিংবা গ্রেট করে নিতে হবে। এতে করে পুরো লেবু ফলটির উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হবে।
আরও মনে রাখা জরুরি, বিভিন্ন মিনারেলের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি ও বি, ভলাটাইল অয়েল সমৃদ্ধ লেবু ফলে তৈরি লেবু পানিতে অবশ্যই বাড়তি লবণ যোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: লেবু চায়ের চমকপ্রদ পাঁচ গুণ