ফলে শিশুর সার্বিক যত্নে ত্বকের দিকেও খেয়াল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সাধারণত নবজাতক থেকে শুরু করে দুই বছরের শিশুদের একটি কমন সমস্যা দেখা দেয়। সেটা হলো ডায়াপার ব্যবহারে র্যাশের প্রাদুর্ভাব।
ডায়াপার পরানোর ফলে পেটের নিচের অংশে, কুঁচকির কাছে ও পশ্চাৎদেশের অংশে লাল ছোট ছোট র্যাশ দেখা দেয়। ডায়াপার ব্যবহারের ফলে এই সমস্যাটি হরহামেশাই দেখা দেয়। এতে করে শিশুরা ডায়াপার পরতে অস্বস্তিবোধ করে। ডায়াপার র্যাশের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য খুবই সাধারণ কিছু পদ্ধতি জেনে রাখলে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে এই সমস্যাটি থেকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলো-বাতাসের অভাবে র্যাশ দেখা দেয়। বদ্ধ স্থানে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে র্যাশের সৃষ্টি হয়। তাই ডায়াপারের দরুন ডায়াপার লাইনে র্যাশ দেখা দিলে কিছুদিনের জন্য ডায়াপার ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং বেবি পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
শারীরিক ব্যথা ও ডায়াপারের দরুন র্যাশের সমস্যা দেখা দিলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক এই তেলটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান থাকায়, যা দ্রুত র্যাশের সমস্যা কমাতে কাজ করে এবং র্যাশের ফলে তৈরি জ্বালাপোড়াভাবকে কমাতে কাজ করে।
ব্যারিয়ার অয়েন্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিবার ডায়াপার পরিবর্তনের সময় ডায়াপার লাইন বরাবর পেট্রোলিয়াম জেলি আলতোভাবে ম্যাসাজ করে নিয়ে ডায়াপারের খসখসেভাব শিশুর কোমল ত্বকে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। অনেক সময় ত্বকের শুষ্কতা থেকে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি সবচেয়ে উপকারি উপাদান।
বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে সাময়িক র্যাশের সমস্যা উপরোক্ত যেকোন নিয়ম মেনে চললেই ভালো হয়ে যায়। তবে র্যাশের সমস্যাটি যদি দীর্ঘদিন যাবত রয়ে যায় এবং ঘনঘন দেখা দেয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরও পড়ুন: যেভাবে ত্বকের ক্ষতি করছে মিষ্টি খাবার
আরও পড়ুন: হাত শুকানোর উপরেও নির্ভর করে সুস্থ থাকা