বিশেষত নবমী ও দশমী এই দুইদিনে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে জিভে জল আনা হরেক খাবারে। বিভিন্ন ধরনের রান্নার আয়োজনে ভিন্নতা আনতে মুরগির মাংসে রেঁধে নেওয়া যেতে পারে বালতি চিকেন।
ভারতীয় ঘরানার এই রেসিপিটির এমন নামকরণের কারণ হলো, এই রেসিপিতে মাংস তৈরি করা হয় ঘন ও মুখরোচক স্বাদের ঝোলে। যা পাত্রের তলায় থিতিয়ে থাকবে এবং সেই ঝোল খেতে হবে নান বা রুটির সাথে। সাথে মাংস পরিবেশনও করা হবে ছোট বালতি আকৃতির পাত্রে। অবশ্য ভিন্ন পাত্রে এই খাবার পরিবেশন করা হলেও রেসিপি ও স্বাদের ভিন্নতার জন্য নাম বালতি চিকেনই থাকবে।
১. দুইটি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
২. দুই কোয়া রসুন।
৩. ৩-৪টি কাঁচামরিচ।
৪. দুই ইঞ্চি পরিমাণ আদা।
৫. এক টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল।
৬. ১/৮ চা চামচ হিং।
৭. আধা চা চামচ জিরা।
৮. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
৯. এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
১০. আধা চা চামচ মৌরি।
১১. দুই টেবিল চামচ টমেটো বাটা।
১২. এক চা চামচ মধু।
১৩. পরিমাণমতো পানি।
১৪. দুইটি টমেটো কুঁচি।
১৫. ২-৩টি চিকেন ব্রেস্ট টুকরো।
১৬. ২ চা চামচ গরম মশলা।
১৭. এক কাপ দই।
১৮. পরিমাণমতো লবণ।
১. অর্ধেক পরিমাণ পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন, আদা ও কাঁচামরিচ একসাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবারে করাই গরম করে এক টেবিল চামচ তেল গরম করে এতে হিং ও জিরা দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভাজতে হবে এবং পেঁয়াজের পেস্ট দিয়ে দিতে হবে।
২. সবকিছু একসাথে মিনিট দুই রান্না করার পর সকল মসলা গুঁড়া দিয়ে মিনিটখানেক নাড়াচাড়া করতে হবে। মসলা মিশে গেলে এতে টমেটো বাটা, পানি ও মধু দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য রাঁধতে হবে।
৩. এতক্ষনে সকল মসলা মিশে ঘন ঝোল তৈরি হয়ে যাবে। এই ঝোল আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে পরবর্তী ব্যবহারের জন্য রাখতে হবে।
৪. কড়াইতে পুনরায় তেল দিয়ে গরম করে বাকি অর্ধেক পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে উপরে লবণ ছড়িয়ে দিতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে আগে থেকে তৈরি করে রাখা ঝোল দিয়ে দিতে হবে এবং অল্প আঁচে ভালোভাবে নাড়তে হবে।
৫. এবারে এতে টমেটো কুঁচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে গরম মসলা ও টকদই দিয়ে পুনরায় নাড়তে হবে।
ঝোল টেনে আসলে মাংস নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেসিপির নতুনত্বে পনিরের মাঞ্চুরিয়ান
আরও পড়ুন: ক্রিমি বেকড চিকেন পাস্তা