এটা হয়তো অনেকেই জানেন না, খাদ্যাভাসের উপরে ক্ষুধাভাবের ধরণে অনেকাংশে নির্ভর করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি এমন খাবার রাখা যায়, যা ক্ষুধাভাবকে দমিয়ে রাখবে, তবে বাড়তি খাবার গ্রহণের কোন সম্ভাবনাই থাকে না। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন কোন খাবারগুলো ক্ষুধাভাবকে দমন করতে কাজ করবে।
অন্যান্য সকল ধরনের ফলের মাঝে আপেল সবচেয়ে পারফেক্ট একটি ফল, যা লম্বা সময় ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখতে কাজ করবে। আপেলে থাকা আঁশ ও জলীয় উপাদান এই কাজে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া আপেলে থাকা পেকটিন রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, যার উপরে ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে।
২০১৫ সালে ওভারওয়েট নারীদের উপর কোরিয়ান একটি গবেষণার তথ্য ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন রিসার্চ জার্নালে প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, যারা নিয়মিত মেথি চা পান করতেন তাদের খাবার গ্রহণের পরিমাণ তুলনামূলক কমে গিয়েছিল এবং তাদের ক্ষুধাভাবও কম দেখা দিত।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিডস ক্ষুধাভাব দমকে খুব উপকারী একটি উপাদান। মাত্র এক টেবিল চামচ পরিমাণ ফ্ল্যাক্সসিডস থেকে পাওয়া যাবে ২.৩ গ্রাম ওমেগা-৩ ও ৩ গ্রাম পরিমাণ খাদ্যআঁশ। এছাড়াও ফ্ল্যাক্সসিডস ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ একটি উৎস। যা ক্ষুধা নিবারক হরমোন Cholecystokinin নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের বাদাম একদিকে যেমন নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদানে কাজ করে, অন্যদিকে ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। আখরোট, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম কিংবা পেস্তাবাদাম ৭-৮টি একবারে খেলে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাবের যন্ত্রণা দেখা দেবে না।
এক বাটি ওটস অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধাভাবকে দূরে রাখবে বলে, সকাল কিংবা বিকালের নাশতায় ওটসকে রাখা যেতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। আঁশ সমৃদ্ধ ওটস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ক্ষুধাভাবকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন: