২০১৫ সালের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে। যেখানে দেখানো হয়, যাদের উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা নেই তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ ও হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যায় ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত। যা থেকে সহজেই অনুমেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটি কতটা প্রভাব ফেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থা জরুরি। সেই সাথে জরুরি জেনে রাখা, রক্তচাপ হুট করে বেড়ে গেলে কি করা প্রয়োজন।
যখনই মনে হবে বা শারীরিক লক্ষণে মনে হবে যে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে, চেয়ারে থাকাকালীন সময়ে পিঠ সোজা করে দুই পা স্বাভাবিক রেখে বসতে হবে। এতে করে রক্ত চলাচলের পথ সুগম হয় এবং রক্তচাপ কমে আসে। এই বিষয়টি রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে।
বই পড়ার সময় হাত যদি খুব বেশি উঁচু অথবা নিচু হয়ে থাকে তবে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটা থেকে রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে থাকেন, হাতের অবস্থান সবসময় হৃদযন্ত্র বরাবর রাখার জন্য। প্রয়োজনে টেবিল কিংবা বালিশ অথবা অন্য কোন উঁচু স্থানে হাত ঠেকিয়ে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপে ও অস্থিরতায় হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনটা হলে কোন স্থানে স্থিরভাবে বসে নাকের সাহায্যে ধীরে শ্বাস টেনে নিতে হবে এবং কিছুক্ষণ ধরে রেখে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে কয়েকবার করা হলে মনের শান্ত হবে এবং রক্তচাপ অনেকটাই কমে যাবে।
ছোট একটি গবেষণাপ্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী যে সকল প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ১৫ মিনিটের জন্য হ্যান্ড-গ্রিপ এক্সারসাইজ করে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়ার মাত্রা কমে যায় অন্তত ১০ পয়েন্ট। নিত্যদিনের জীবন অভ্যাসে এই ব্যায়ামটি খুব সূক্ষ্মভাবে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করবে।
এতক্ষণে হয়তো মনের মতো কোন একটা পয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে সবার জন্য। ৩৫টি ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে- উচ্চমাত্রার ফ্ল্যাভনয়েড সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট গ্রহণে সামান্য মাত্রায় হলেও রক্তচাপ প্রশমিত হয়। তবে রক্তচাপ মাপার ঠিক আগ মুহূর্তে ডার্ক চকলেট না খেয়ে অন্তত ঘন্টাখানেক আগে স্বল্প পরিমাণ ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: জাপানিদের গড় আয়ু বেশি হওয়ার ৭ কারণ
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত পানি পান হতে পারে মৃত্যুর কারণ!