তাছাড়া রেস্টুরেন্টের মজাদার ও মুখরোচক খাবারের সাথে কিছু সময় কাটাতে কারোরই খারাপ লাগার কথা নয়। কিন্তু সমস্যাটি একেবারেই অন্যখানে। এই সকল লোভনীয় খাবার যতই সুস্বাদু হোক না কেন, তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং অনেকখানি ক্ষতিকর স্বাস্থ্যের জন্য।
আজকের ফিচারে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া বন্ধ করার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরা হলো। যা জেনে রাখা প্রয়োজন সকলের।
১. রেস্টুরেন্টে তৈরি করা খাবারে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটযুক্ত উপাদান থাকে। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। বর্তমান সময়ে ওবেসিটি অন্যতম প্রধান একটি শারীরিক সমস্যা, যা শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের মাঝেই দেখা যায়। এই ওবেসিটি থেকে টাইপ-২ ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য গুরুত্বর সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়।
২. বার্গার খেতে ইচ্ছা হলে বাড়িতে বার্গার তৈরি করে খেয়ে ফেলুন। কিন্তু রেস্টুরেন্ট কিংবা বার্গার শপের বার্গারের ধারেকাছেও ঘেঁষবেন না। কারণ রেস্টুরেন্টে তৈরিকৃত বার্গারগুলোতে যে সকল মাংস ব্যবহার করা হয়, তাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের উপস্থিতি এবং এ সকল মাংসে পুষ্টি উপাদান থাকে খুবই কম পরিমাণে। অ্যামোনিয়াসহ অন্যান্য কেমিক্যালযুক্ত এই সকল মাংসে তৈরি বার্গার সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৩. রেস্টুরেন্টের খাবার কিন্তু খুবই অ্যাডিক্টিভ তথা আসক্তি তৈরিকারী। কিছুদিন পরপর খাওয়া হলেই বাইরের খাবারের প্রতি আসক্তি চলে আসে। বাইরের খাবার খাওয়া না হলে খারাপ লাগে। এমনটা হওয়ার কারণ হলো, বাইরের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মসলা ও কেমিক্যালের উপস্থিতি।
৪. খেয়াল করে দেখবেন এখনকার সময়ে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অপশন রাখার জন্য সালাদ বোলের আয়োজন করছে। যা আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, এতেও থাকে অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন সস ও উপাদানের উপস্থিতি। সালাদ খেতে হলে নিজে বাসাতে বিভিন্ন সবজি ও ফল দিয়ে তৈরি করে নেওয়াই হবে সবচেয়ে ভালো।
৫. রেস্টুরেন্টের ভারি খাবার খাওয়ার সময় সাথে আবশ্যিকভাবেই থাকে কোমল পানীয়। কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নিশ্চয় আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত চিনি, সিরাপ, রঙ ও কেমিক্যালযুক্ত এই পানীয়গুলো পেটের মেদ ও রক্তে ইনস্যুলিন রেসিস্ট্যান্সি বৃদ্ধি করে।
৬. রেস্টুরেন্টের বেশিরভাগ খাবার তৈরিতেই ব্যবহৃত হয় টেস্টিং সল্ট ( sodium glutamate). যা অন্যতম ক্ষতিকর ও স্বাস্থ্যহানীকারক একটি উপাদান হিসেবে বিবেচ্য। অতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট গ্রহণে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানোসহ নানা ধরনের শারীরিক অস্বস্তি দেখা দেয়।
৭. রেস্টুরেন্টের বেশিরভাগ খাবারই হয়ে থাকে কার্বহাইড্রেট সমৃদ্ধ। ফ্রাইড রাইস, পাস্তা, পিৎজা, শর্মা, নান, পরোটাসহ প্রায় সকল খাবারেই কার্বোহাইড্রেটের উপস্থিতি পাওয়া যাবে। বাড়তি কার্বোহাইড্রেট থেকে শরীরে জমে হয় বাড়তি চিনি। যা থেকে ওজন বৃদ্ধি, ডায়বেটিসের প্রাদুর্ভাব, উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো দেখা দেওয়া শুরু করে।
আরও পড়ুন: ভ্রমণে যেমন খাবার রাখা চাই সাথে
আরও পড়ুন: রান্না দ্রুত হবে কীভাবে?