এইভাবে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক চাপ ও ক্লান্তি, মানসিক চাপ ও অস্থিরতা, মনের ভেতর কোন বিষয় ঘুরপাক খাওয়া, অসুস্থতা ইত্যাদি।
ঘুম যে কারণেই ভেঙে যাক না কেন, এরপর সহজে আর ঘুম ফিরে আসতে চায় না। বহু সময় পার হয়ে গেলে ও বহু কসরত করলেও ঘুমের দেখা যাওয়া যায় না। এমন সময়ে কীভাবে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হবে এবং কোন কাজটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে সেটা জানা থাকলে দারুণ সুবিধা হবে।
হুট করে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে প্রথমেই মোবাইল হাতে তুলে নেওয়া হয়। নতুন কোন মেইল আসল কি? ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের নোটিফিকেশনগুলোয় চোখ বুলিয়ে নেওয়া। এতেই অনেকখানি সময় কেটে যায়, সাথে কেটে যায় চোখে অবশিষ্ট থাকা ঘুমভাবও। তাই মাঝরাতে বা রাতে যখনই ঘুম ভেঙে যাক না কেন মোবাইলকে দূরে রাখতে হবে। এমনকি হার্ভার্ডের গবেষণা মোতেও এই কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর আর ঘুম আসতে চায় না।
হুট করে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর অনেকেই অশান্তি বোধ করেন। বিছানাতেই ছটফট করা শুরু করেন। এতে করে যতটুকু ঘুম আসার সম্ভাবনা থাকে সেটাও চলে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, রাতে গভীর ঘুম হুট করে যেকোন কারণেই হোক না কেন ভেঙে যেতে পারে। তখন নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। সোজা হয়ে শুয়ে নাকের সাহায্যে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে ও প্রশ্বাস ফেলতে হবে। এরপর আরামদায়ক ভঙ্গীতে শুয়ে যেকোন একদিকে মনোযোগ নিবন্ধ করতে হবে। সেটা হতে পারে সংখ্যা গণনা অথবা কোন কবিতা মনে করার চেষ্টা। এভাবে কিছুক্ষণ সময় কাটালে অল্প সময়ের মাঝেই ঘুম চলে আসবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ অনুযায়ী রিলাক্সেশন টেকনিক শরীর ও মনের চাপকে কমাতে কাজ করে, এতে করে উভয় প্রশান্তি পায় এবং দ্রুত ঘুম চলে আসে। মাসল রিলাক্সেশনের জন্য প্রথমে শরীরের পেশীগুলোকে শক্ত করতে হবে যাকে বলা হচ্ছে কন্ট্রাকশন। এই অবস্থায় ৫ সেকেন্ড থাকতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধীরে পেশীগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে। এভাবে ৭-১০ বার করার পর নিজ থেকেই ঘুম চলে আসবে ও দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হবে।