পানের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে খুব কমই জানি আমরা। অথচ কী দারুন এক প্রাকৃতিক উপাদান পান পাতা! নানাবিধ উপকারিতার ভেতর মাথাব্যথা কমাতে পান পাতার অবদান আশ্চর্য করার মতো।
আজকের ফিচারের শিরোনামটা ব্যতিক্রম ও পুরনো ধাঁচে দেওয়ার একটি কারণ আছে। মাথাব্যাথায় পানের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সচেতন নই। কিন্তু আমাদের মা-খালা, নানী-দাদীদের জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে, তাদের সময়ে মাথাব্যাথা সারাতে পান পাতা ছিল দারুণ এক দাওয়া (চিকিৎসা)। সেই সত্তুর-আশির দশকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রের বইতে মাথাব্যাথায় পানের ব্যবহার নিয়ে লেখা হতো এই শিরোনামে- শির রোগ (মাথা ব্যথা) যদি হয়, পানের রসে হবে ক্ষয় (নিরাময়)।
কিন্তু সহজলভ্য এই পান পাতার রসে কি এমন রয়েছে, যা তীব্র মাথাব্যথাকে কয়েক মিনিটের ভেতর কাবু করতে পারে? পান পাতার সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো, এতে রয়েছে ব্যথানাশক ও শীতলীকরণ উপাদান। যা ব্যথা কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করা শুরু করে। পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন-সি, থায়ামিন, নায়াসিন, রিবোফ্লাভিন ও ক্যারোটিন।
পান পাতার রস কপালে ব্যবহার করার সঙ্গে খেলেও মাথাব্যথা কমতে সাহায্য করে। এখানে তুলে ধরা হলো কীভাবে পানপাতার রস তৈরি করতে হবে।
পান পাতার রস তৈরি
এর জন্য প্রয়োজন হবে দুইটি ভালো পান পাতা, অল্প পরিমাণ পানি ও ছোট এক টুকরো কর্পূর। প্রথমে পান পাতা ছোট টুকরো করে ছিঁড়ে নিতে হবে। এরপর এর সাথে পানি মিশিয়ে ভালোভাবে বাটতে/ ব্লেন্ড করতে হবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এর সাথে কর্পূর মিশিয়ে পুনরায় ব্লেন্ড করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে সেটা ছেঁকে রস বের করে নিতে হবে।
পান পাতার রসের ব্যবহার
তৈরিকৃত পান পাতার এই রসটি কপালের সামনের অংশ ও কপালের দুইপাশের অংশে ম্যাসাজ করতে হবে। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে দিনে ৩-৪ বার এই রসটি ব্যবহার করতে হবে। পানের রসের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে যে কেউ নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।