শীতকালীন খুশকি রোধ করবেন কীভাবে?

সৌন্দর্যচর্চা, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 02:29:46

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথেই ত্বক ও চুলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। যার মাঝে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটির কথা শোনা যায়, সেটা নিশ্চিতভাবেই খুশকির সমস্যা। শুষ্ক আবহাওয়ার দরুন ত্বকের শুষ্কতা থেকে দেখা দেওয়া খুশকির সমস্যাটি প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কমিয়ে আনা সম্ভব মাথার ত্বকের আর্দ্রতা নিশ্চিত করে।

আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও খুশকির সমস্যা প্রতিরোধে কোন কাজগুলো করা প্রয়োজন এ সময়ে।

১. প্রাথমিকভাবে মৃদু ধাঁচের ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার মাথার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে কাজ করবে। ফলে মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হবে না এবং চুলকানির প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে না। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা প্রথম দিকে অল্প পরিমাণ কন্ডিশনার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যদি কোন সমস্যা না হয় তবে ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে।

২. টি ট্রি অয়েল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারে জোর দিতে হবে। টি ট্রি অয়েলের চমৎকার উপকারিতা মাথার ত্বকের আর্দ্রতাকে ফিরিয়ে আনবে। সেই সাথে এই এসেনশিয়াল অয়েলের অ্যান্টি-ফাংগাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ধর্ম খুশকি প্রতিরোধ করবে। সপ্তাহে দুই-তিনবার টি ট্রি অয়েল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারই যথেষ্ট।

৩. খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-বি ও জিংকের উপস্থিতি মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে কাজ করে। এই দুইটি পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও সমানভাবে কার্যকর। এর জন্য আখরোট, ডিম, পাতাযুক্ত সবজি খেতে হবে।

৪. হেয়ার স্টাইলিং পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার কখনোই মাথার ত্বকের জন্য ভালো নয়। বিশেষত শীতকালে এ ধরনের পণ্য যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই শীতকালে চুল ও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। এই ধরনের পণ্য মাথার ত্বকের আর্দ্রতাকে আরও কমিয়ে ফেলে এবং এতে থাকা কেমিক্যাল পণ্য মাথার ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৫. অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন। এই অভ্যাসটিকে বিদায় জানাতে হবে শীতকালে। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল ও মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠবে। এ মৌসুমে প্রতি এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

৬. তেল ব্যবহারে কোন কার্পণ্য করা যাবে না। হট অয়েল ম্যাসাজ এ সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। গরম নারিকেল তেলের সাথে ৬-৭ ফোঁটা আমন্ড অয়েল এবং ৪-৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।

৭. প্রতিবার শ্যাম্পু করার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে চুলে ও মাথার ত্বকে হট অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বক তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাবে। এতে করে শ্যাম্পু করা হলেও চুল ও মাথার ত্বক শুষ্ক হবে না। এ ক্ষেত্রে সমপরিমাণ নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর