দেখতে দেখতেই নতুন বছরের প্রায় ১৫ দিন কেটে যাচ্ছে। শুধু নতুন একটি বছর নয়, নতুন একটি দশকের শুরুতে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ও ইচ্ছা রয়েছে সবার। তা বাস্তবায়ন করতে হলে যেকোন কিছুর আগে প্রয়োজন হবে নিজের প্রতি খেয়াল রাখা, নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া।
তবে চারপাশের ব্যস্ততা, পারিবারিক চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা নিয়ে নিজের প্রতি মনযোগী হওয়া খুব একটা সহজ নয় মোটেও। এর মাঝেই জানতে হবে নিজেকে ভালো রাখা, নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
২০২০-এ নিজেকে প্রাধান্য দিতে যে বিষয়গুলোর উপর বাড়তি নজর দিতে হবে তা তুলে আনা হলো আজকের ফিচারে।
দিনভর বাসায়, অফিসে কাজ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় দিয়ে নিজের জন্য আলাদাভাবে কোন সময়ই পাওয়া হয় না। অথচ আলাদাভাবে নিজের মতো করে কাটানোর জন্য সময়, সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। মনকে শান্ত রাখে। পরেরদিনের জন্য প্রস্তুত করে শারীরিক ও মানসিকভাবে।
নিজের সবচেয়ে প্রিয় ও কাছের বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো একইসাথে মনকে ভালো রাখতে ও বাড়তি দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে মন খুলে কথা বলা, আড্ডা দেওয়ার ফলে মনকে হালকা করা সম্ভব হয় খুব সহজেই। এছাড়া বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর ফলে সামাজিক যোগাযোগ ও বন্ধন দৃঢ় হয়। যা একাকীত্ববোধকে মাথাচাড়া দিতে দেয় না।
ভালো-খারাপ মিলিয়েই জীবন চলবে। কিন্তু নিজের ভেতর নেতিবাচক মনোভাব থাকলে তার ফলাফল স্বরূপ সকল ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার হবে। নিজেকে যত বেশি ইতিবাচক মনোভাবে রাখা সম্ভব হবে, যেকোন কাজ থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। ‘ইমোশন’ নামক জার্নাল জানাচ্ছে, গবেষকেরা দেখেছেন- যে সকল ছাত্র পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার আশা করে, তাদের বেশিরভাগের ফলাফল ভালো হয় তাদের চাইতে, যারা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। অর্থাৎ নিজের মনোভাবের প্রভাব খুব সূক্ষ্মভাবে হলেও কাজ ও ফলের উপর প্রভাব রেখে যায়।
প্রতিটা মানুষের চারপাশের পরিবেশ ও পরিস্থিতি ভিন্ন হবে, যা স্বাভাবিক। নতুন বছরে চেষ্টা করতে হবে নিজেকে চারপাশের সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে ভালো থাকার জন্য। চারপাশের সবকিছুর মাঝে পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, নিজের বর্তমান পরিস্থিতি সবকিছুই রয়েছে।
অন্যের প্রশংসা করা কঠিন হলে, নিজের প্রশংসা করা দ্বিগুণ কঠিন। বেশিরভাগ মানুষই এ বিষয়টির সাথে একমত হবেন। মন খুলে নিজের প্রশংসা করার মতো পরিস্থিতি হয়তো খুব কমই হবে, কিন্তু সবসময় নিজের ব্যাপারে উঁচু ধারণা পোষণ করতে হবে। নিজেকে নিজের কাছে রাখতে হবে ‘হট ফেভারিট’ এর তালিকাতে। হয়তো আপনি খুব সুন্দর করে সাজতে পারেন না। কিন্তু আনাড়ি হাতে যেভাবেই সাজুন না কেন, নিজের প্রশংসা করতে ভোলা যাবে না। এতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায় খুব সহজেই।
সবকিছুর সাথে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে হবে। নতুন কোন ভাষা শেখা, রান্না শেখা, কম্পিউটারের নতুন কোন প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানার মতো কাজগুলো শুধু অভিজ্ঞতা বাড়াতেই নয়, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: