আবহাওয়ার পরিবর্তন যতটা মুখের ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে, হাতের ত্বকের উপরেও তার প্রভাব দেখা যায় সমানভাবে। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার অভাবে হাতের ত্বক খুব সহজেই শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে ওঠে। অথচ খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনেই হাতকে কোমল ও সুন্দর রাখা সম্ভব।
আবহাওয়ার শুষ্কতা আমাদের হাতের ত্বককে রুক্ষ করে তোলে এবং ত্বকে ফাটল তৈরি করে। তাই শুধু মুখের ত্বকেই নয়, হাতেও ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। হাতকে আর্দ্রতাপূর্ণ রাখলে সহজেই শিশুদের মতো নরম ও কোমল হাত পাওয়া যাবে। এর জন্য ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার বেছে বেছে নেওয়া যেতে পারে। অথবা নারিকেল তেল, আমন্ড তেল এবং অলিভ অয়েলের মতো প্রাকৃতিক তেল ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যাবে।
হাতের ত্বককে পুষ্টি এবং আর্দ্রতাপূর্ণ রাখার জন্য হ্যান্ড ক্রিম সবচেয়ে উপযুক্ত একটি পণ্য। মুখের ত্বকের সাথে হাতের ত্বকের ভিন্নতা থাকায়, হাতের জন্য বিশেষ পণ্য ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতিবার পানি ব্যবহারের পর হাতে হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
বারবার সাবান ব্যবহারে হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। কারণ হাত ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত সাবানে আমাদের ত্বকের তুলনায় অনেক বেশি পিএইচ (pH) থাকে, আমাদের হাতের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। এছাড়া সাবানে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক হাতের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে হ্রাস করতে পারে। তাই সাবান ব্যবহারের পরিবর্তে হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করলে শুষ্কতা কম দেখা দেবে।
হাত ধোয়া বা গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার হাতের আর্দ্রতাকে হ্রাস করতে পারে। যা খুব সহজেই হাতের ত্বককে রুক্ষ করে তুলতে পারে। এ কারণে হাত পরিষ্কার করার জন্য গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গরম পানির পরিবর্তে শীতল পানি বা একদম হালকা তথা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
থালাবাসন ধোয়া, কাপড় কাঁচা, ঘরোয়া বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করার মতো গৃহস্থালির কাজে পানি, সাবান, ডিটারজেন্ট ব্যবহারে হাতের ত্বকে সরাসরি ক্ষতি হয়। এই কাজগুলোর জন্য ভালো মানের রবারের গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে হাতকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি শুধু মুখের ত্বকেই নয়, হাতের ত্বকের জন্যেও ক্ষতির কারণ। এ কারণে মুখের ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় অবশ্যই মনে করে করে হাতের ত্বকেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।