সৌখিন কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল বরাবরই। এই আগ্রহ থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ডিজাইনের কাজ করতেন নার্গিস আক্তার। পড়ালেখা শেষে চাকরির ব্যস্ততা, সংসার ও সন্তানদের সময় দিতে গিয়ে নিজের ভালোলাগার কাজটি থেকে দূরে চলে আসা হয় তার।
তবে সৌখিন কাজের প্রতি ভালোবাসা কমেনি কখনোই। তাই লম্বা সময়ের বিরতির পর পুনরায় প্রিয় কাজকে সঙ্গী করে নার্গিস আক্তারের হাত ধরে যাত্রা শুরু হল ‘লুসিওলে’র।
শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও হোম ডেকরের রুচিসম্মত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএসে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় লুসিওলের। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লুসিওলের কর্ণধার নার্গিস আক্তার এবং তার পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা।
নামের ব্যাপারে জানতে চাইলে নার্গিস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লুসিওলে ফ্রেন্স শব্দ, যার অর্থ হল জোনাকি। আমি চাই আমার প্রতিষ্ঠিত লুসিওলে সবদিকে আলো ছড়িয়ে দিবে, সবার কাছে পরিচিত হবে।’
লুসিওলের আউটলেট ঘুরে দেখা মিলল নয়নাভিরাম সংগ্রহের। সাধারণ হাফ সিল্ক, তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি কাতান, ফ্লাওয়ার প্রিন্ট কাতান, নেট, জর্জেট, জামদানি- সব ধরনের শাড়িই রয়েছে শাড়ির সংগ্রহে। নার্গিস জানালেন এর সাথে তার নিজস্ব নকশায় তৈরি এক্সক্লুসিভ শাড়িও পাওয়া যাবে লুসিওলে তে।
আরও রয়েছে দেশীয়, ভারতীয় ও পাকিস্তানী সালোয়ার কামিজ, হ্যান্ডব্যাগ, কুশন ও কুশন কভারের সংগ্রহও। সামনে অরিজিনাল মেকআপ পণ্যও পাওয়া যাবে লুসিওলেতে।
ক্রেতাদের মনে ও বর্তমান মার্কেটে নিজেদের স্থান তৈরি করাই হবে লুসিওলের প্রধান লক্ষ্য। এ কারণে পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছেন সকল স্তরের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেই।
বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকার মাঝে। এছাড়া সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাবে ৮০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকার মাঝে। নার্গিস জানান আসন্ন পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সামনে রেখেই সাজানো হয়েছে লুসিওলের কালেকশন।
লুসিওলের বর্তমান ঠিকানা:
মিরপুর ডিওএইচএস, হাউজ- ৭০৯-৭১০, এভিনিউ-৩, ফ্ল্যাট-বি২, রোড-১০