পছন্দসই কোন খাবার তৈরি হোক কিংবা ঘরের কোন জিনিস পরিষ্কার, অথবা নিজের যত্ন- সবকিছুতেই বেকিং সোডা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। বহুল ব্যবহৃত এই জিনিসটি উপকারী হলেও বেশ কিছু জিনিস পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এটা এড়িয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এমন পাঁচটি জিনিসের নাম জেনে রাখুন।
দরজা, জানালা, ডায়নিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের কাঁচ ঝকঝকে না থাকলে কি ভালো দেখায়! কাঁচের সৌন্দর্যই তো চকচকে থাকায়। কাঁচ পরিষ্কার করার জন্য সাবান-পানি কিংবা ভিনেগার-পানির মিশ্রণ ব্যবহার করা হবে সবচেয়ে উত্তম এবং কোনভাবেই বেকিং সোডা ব্যবহার করা যাবে না। বেকিং সোডা কোন জিনিসের উপরিভাগের অংশ ঘষে তুলে ফেলার মতো শক্তিশালী, যা সহজেই কাঁচে দাগ ফেলে দেয়।
রান্নার বিভিন্ন ধরনের অ্যালুমিনামের বাসন ঝাঁ চকচকে পরিষ্কার করার জন্য যদি বেকিং সোডা ব্যবহার করেন, তবে মনে করে যতদ্রুত সম্ভব পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। নতুবা অ্যালুমিনাম পাত্রে বেকিং সোডা অক্সিডাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে। এ জন্য অ্যালুমিনাম পাত্র বেকিং সোডা ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
মার্বেলের মেঝে কিংবা কোন মার্বেলে বাধাই করা কোন স্থান কখনোই বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত নয়। বেকিং সোডা শক্তিশালী পরিষ্কারক উপাদান হওয়ায় মার্বেলের উপরিভাগের স্তরকে নষ্ট করে দেয় এবং মার্বেলে দাগ ফেলে দেয়। কিছু ক্ষেত্রে মার্বেলকে ক্ষতিগ্রস্তও করে।
কাঠের আসবাবের জন্য বেকিং সোডা বেশ স্ট্রং পরিষ্কারক উপাদান। যা সহজেই কাঠের উপরের স্তরকে তুলে দিতে পারে অথবা স্তর ও প্রলেপ তৈরি করতে পারে। এ কারণে যেকোন ধরনের কাঠের জিনিস ও আসবাব পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বেকিং সোডা এড়িয়ে যেতে হবে।
অনেকেই শখ করে গোল্ড প্লেটেড চামচ, কাঁটাচামচ, ছুরি ব্যবহার করেন। এগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে ভুলেও কখনো বেকিং সোডা ব্যবহার করা যাবে না। গোল্ড খুবই নমনীয় একটি ধাতু, অন্যদিকে বেকিং সোডা খুবই শক্তিশালী একটি পরিষ্কারক উপাদান। ফলে বেকিং সোডা ব্যবহারে সহজেই গোল্ড প্লেটেড জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।