নিজেকে সুস্থ রাখতে ও করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে ঘরের ভেতরেই থাকতে হবে যতটা সম্ভব। সেই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যকর ও উপকারী খাদ্য-পানীয় গ্রহণে জোর দিতে হবে যতটা সম্ভব। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এমন উপাদান রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে। ঘরে বসে থাকার সময়ে নতুন কিছু করতে চাইলে তৈরি করে নিতে পারেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারি উপকারি কিছু পানীয়।
এই তিনটি উপাদানই শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করতে চমৎকার খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিত। গাজর, আপেল ও কমলালেবুর জুস থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-এ, সি, বি৬, পটাশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড।
অন্য উপাদান যদি সহজলভ্য না হয় তাতেও সমস্যা নেই। শুধু কমলালেবুর জুস পান করলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো সম্ভব। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ কমলালেবুর জুসের স্বাদ বাড়াতে আদা ও মধু যোগ করা যেতে পারে।
এই শক্তিশালী জুসটি একেবারেই সাধারণ সবজি ও খাদ্য উপাদানে তৈরি হলেও, খেয়াল করে দেখুন প্রতিটি উপাদানই মূল ঘরানার সবজি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে প্রদাহজনিত সমস্যাকে কমাতে কাজ করে। প্রদাহ থেকেই অনেক সময় ইনফেকশন, ঠান্ডা ও ফ্লুজনিত সমস্যা, সর্দি, কাশি ও শরীরে ব্যথাভাব দেখা দেয়। চার উপাদানে তৈরি এই জুস থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-এ, সি, ই, আয়রন ও ক্যালসিয়াম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি জুস হল স্পিনাচ- অরেঞ্জ জুস। মৌসুমি ঠান্ডার সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে খুব সহজেই। এই জুস তৈরির জন্য কচু শাক, কমলালেবু, সেলেরি ও আদা প্রয়োজন হবে।
হাতের কাছে যদি অনেকগুলো উপাদান না থাকে তবে একটি খাদ্য উপাদানে তৈরি জুসই সাহায্য করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে। পাকা টমেটো, অল্প পরিমাণ বিটলবন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া একসাথে ব্লেন্ড করে তৈরি করা জুস পানেও উপকার পাওয়া যাবে। এই জুসটিও ইনফেকশনের সমস্যা কমাতে কার্যকর। টমেটোর জুস থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন- এ, সি, আয়রন ও ফলেট।