ঘরে বসে ঘরোয়া উপাদানে ত্বকের যত্ন

সৌন্দর্যচর্চা, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 03:55:22

বাইরে বের হওয়া হচ্ছে না বলে ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই, এমন ভাবনা একেবারেই ভুল। বাইরে বের হওয়া হোক কিংবা ঘরেই থাকা হোক না কেন, ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়া না হলে সহজেই নানাবিধ ত্বকজনিত সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হবে।

কারণ ঘরের ভেতরেও বাইরের ধুলাবালি প্রবেশ করে এবং প্রতিনিয়তই আমাদের ত্বকের উপরের আবরণে মরা চামড়া জমছে। সঠিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকের পরিচর্যা নেওয়া না হলে অল্প কিছুদিনের মাঝে দেখা দিতে শুরু করবে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা। এমন সমস্যা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারেই ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব হবে।

মধুর ফেসমাস্ক

ত্বক

ঘরে তৈরি ফেসমাস্কের মাঝে মধুর ফেসমাস্ক থাকবে সবার উপরে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ এই উপাদানটি ত্বকের জন্য নানাবিধ উপকারিতা বহন করে। মধুর তৈরি ফেসমাস্কের জন্য দুই টেবিল চামচ মধুতে এক চা চামচ ওটস গুঁড়া ও আধা চা চামচ টকদই মিশিয়ে নিতে হবে। সকল উপাদান ভালোভাবে মেশানো হলে ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

ভিনেগার ফেসিয়াল মাস্ক

ত্বক

ত্বকের যত্নে ভিনেগারের কথা শুনলে অনেকেই নাক শিটকাতে পারেন। জেনে রাখুন, হেলেন অব ট্রয়ের সময়ে সবচেয়ে ভালো ও উন্নত স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা হত এই ভিনেগার। এমনকি এখনকার সময়েও টোনার হিসেবে ভিনেগার খুবই ভালো একটি উপাদান। মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার দুই কাপ পরিমাণ পানিতে ভালোভাবে মেশাতে হবে। পরিষ্কার কাপড়ের এই মিশ্রণটির সাহায্যে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। মুখের ত্বক পরিষ্কার শেষে অন্তত পাঁচ মিনিট মুখ শুকিয়ে এরপর পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

টকদইয়ের ফেসমাস্ক

বলা হয়ে থাকে, ঘরে যদি ভালো টকদই থাকে তবে ফেস স্পায়ের কোন প্রয়োজন হবে না। ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের লোমকূপকে ছোট করে আনতে টকদইয়ের ফেসমাস্কই যথেষ্ট। ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ টকদই, ১/৪ চা চামচ কমলালেবুর রস (না থাকলে লেবুর রস) ও এক চা চামচ অ্যালোভেরা পাতার জেল একসাথে মেশাতে হবে। মিশ্রন পুরো মুখে সমানভাবে এপ্লাই করে অন্তত ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

কলার ফেসমাস্ক

ত্বক

ভিটামিন-এ, বি, ই ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা ত্বকের জন্য অ্যাস্ট্রিজেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ত্বককে টানটান রাখতে এবং বলীরেখার সমস্যা দূর করতে কাজ করে। কলার ফেসমাস্কের জন্য একটি মাঝারি আকৃতির পাকা কলা ও আধা চা চামচ মধু একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর হালকা শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর