সকাল কিংবা বিকেলের নাশতার জন্য একই ধরনের খাবার খেতে বিরক্ত লাগলে মসলাদার ভুনা ছোলা তৈরি করে নেওয়া যাবে যেকোন বেলার জন্যে। সকালের নাশতায় পরোটার সাথে কিংবা বিকালের নাশতায় মুড়ির সাথে ভরপেট ও মুখরোচক খাবারের জন্য ছোলা ভুনা খুবই পরিচিত একটি খাবার। সেই ছোলা ভুনাকেই কিছু বাড়তি মসলায় ভিন্নভাবে তৈরি করে নেওয়া যাবে।
১. সারারাত ভিজিয়ে রাখা এক কাপ ছোলা।
২. দুইটি পেঁয়াজ কুঁচি।
৩. তিন কোয়া রসুন কুঁচি।
৪. আধা ইঞ্চি আদা কুঁচি।
৫. একটি টমেটো কুঁচি।
৬. এক কাপ টমেটো বাটা।
৭. এক টেবিল চামচ তেল।
৮. একটি তেজপাতা।
৯. একটি দারুচিনি স্টিক।
১০. চারটি এলাচ।
১১. কয়েকটি লবঙ্গ।
১২. দুই চা চামচ লবন।
১৩. এক চা চামচ চিনি।
১৪. আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
১৫. এক চা চামচ জিরা গুঁড়া।
১৬. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
১৭. আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
১৮. এক চা চামচ গরম মসলা।
১৯. এক টেবিল চামচ ঘি।
২০. ৩-৪ টি কাঁচামরিচ ফালি।
১. কড়াইতে তেল গরম করে এতে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে হালকা ভেজে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে সতে করতে হবে। সতে হলে হলুদ গুঁড়া, লবন ও চিনি দিয়ে এক মিনিটের জন্য নাড়তে হবে।
২. এতে ধনিয়া, জিরা ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে দুই মিনিটের জন্য নেড়ে টমেটো কুঁচি দিয়ে দিতে হবে এবং আরও দুই মিনিতের জন্য নাড়তে হবে।
৩. এই মসলাতে ভিজিয়ে রাখা ছোলা পানি নিংড়ে দিয়ে দিতে হবে, সাথে দেড় কাপ পানি, টমেটো বাটা ও আধা চা চামচ লবন দিয়ে নাড়তে হবে এবং চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে। এ অবস্থায় অন্তত ২০-৩০ মিনিটের জন্য রাখতে হবে এবং প্রথম দশ মিনিটের পর পাত্রের মুখ ঢেকে দিতে হবে।
৪. অন্তত আধা ঘন্টা পর পাত্রের মুখ খুলে ছোলার উপরে গরম মসলা ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে লবন দিতে হবে কিছুটা।
৫. ছোলা সিদ্ধ হয়ে আসলে এর উপরে ঘি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে পাঁচ মিনিট অল্প আঁচে রেখে নামিয়ে ধনিয়া পাতা কুঁচি ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।