মুখরোচক খাবারে নজর রাখার সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারের দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে খুবই জরুরি। পরিচিত বিভিন্ন ভিটামিনের মতই প্রয়োজনীয় আরেকটি ভিটামিন হল ভিটামিন-কে।
রক্ত জমাট বাধা ও হাড়ের সুস্থতায় ভিটামিন-কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। এছাড়া হৃদরোগ দূরে রাখতে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মস্তিষ্কের সুস্থতায় ভিটামিন-কে গ্রহণ প্রয়োজন। জেনে নিন কোন খাদ্য উপাদানগুলো থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-কে।
সুমিষ্ট এই ফলটি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ফলেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন-সি ছাড়াও ডালিম থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-কে। ১০০ গ্রাম ডালিম থেকে মিলবে ১৬.৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে।
বহু পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অন্যান্য সকল শাকের মাঝে কচুশাক সবচেয়ে পরিচিত। উচ্চমাত্রার আয়রন, প্রোটিন ও পটাশিয়ামের পাশাপাশি সবুজ এই শাকটি থেকে আরও পাওয়া যাবে ভিটামিন-কে। ১০০ গ্রাম কচুশাকে রয়েছে প্রায় ৪৮৩.৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে।
স্বাদহীন পাতা বিশিষ্ট এই সবজিটি খুবই উপকারী এবং প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় বহু পুষ্টির খোঁজ পাওয়া যাবে লেটুস থেকেউ। ফসফরাস, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, নায়াসিন, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-এ সহ লেটুস যোগান থেকে ভিটামিন-কে। ১০০ গ্রাম লেটুস থেকে পাওয়া যাবে ২৪.১ মাইক্রোগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন-কে।
অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় বলে ব্রকলিকে বলা হয়ে থাকে সবজির ‘পাওয়ার হাউজ’। মিনারেল ও ভিটামিন ছাড়াও এতে রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান। যার মাঝে আছে- ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম। ১০০ গ্রাম ব্রকলি থেকে পাওয়া যাবে ১০২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে।
পটাশিয়াম, কপার, জিংক, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ছাড়াও সুস্বাদু এই সবজি থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-কে। ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া থেকে মিলবে ১.১ মাইক্রোগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন-কে।
ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, ভিটামিন-বি৬, ফলেট, ভিটামিন-এ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানসহ ভিটামিন-কে পাওয়া যাবে সহজলভ্য এই ডাল থেকে। প্রতি ১০০ গ্রাম মুগ ডাল থেকে পাওয়া যাবে ৯ মাইক্রোগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন-কে।