প্রতিদিনের সেহরিতে প্রয়োজন হালকা ঘরানার খাবার। যা ভাতের সাথে মেখে খাওয়া যাওয়া এবং স্বাদেও ভালো হবে। তবে স্বাদের সাথে পুষ্টির বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি, কারণ সেহরির খাবার থেকেই পাওয়া যায় পরবর্তী সারাদিনের পুষ্টি। এক তরকারিতে সবজি ও প্রোটিনের উপস্থিতি রাখতে চাইলে লাউ শাকে রুইয়ের ঝোল রান্না করে নিতে হবে।
১. ৪-৬ পিস রুই মাছ।
২. একটি মাঝারি আলু।
৩. দুই ইঞ্চি পরিমাণ টুকরায় ১৫-২০ টুকরা লাউ।
৪. ১/৩ চা চামচ কালিজিরা।
৫. ৫-৬টি কাঁচামরিচ।
৬. আধা চা চামচ আদা বাটা।
৭. ৪-৫ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
৮. এক মুঠো (৫-৬টি) কুমড়া বড়ি।
৯. স্বাদমত লবণ।
১০. পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়া।
১১. এক চিমটি কালোগোলমরিচের গুঁড়া।
১. মাছের টুকরাগুলো অল্প লবণ ও হলুদ গুঁড়াতে মেরিনেট করে রেখে দিতে হবে পনের মিনিটের জন্য। এর মাঝে আলু ছিলে চারকোনা করে টুকরা করে নিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে মাঝারি তাপে সোনালি করে মাছগুলো ভেজে তুলে রেখে দিতে হবে। একই তেলে কুমড়া বড়িগুলো বাদামি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আলুর টুকরাগুলো হলুদ গুঁড়া ও লবণে মাখিয়ে একই তেলে সোনালি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
৩. এবারে তেলে কালোজিরা ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে মাঝারি আঁচে নেড়েচেড়ে আদা বাটা দিতে হবে।
৪. এতে শাকের ডাঁটা ও শাকপাতা দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য রাঁধতে হবে। শাকে এক কাপ পানি দিয়ে লবণ, হলুদ গুঁড়া, ভাজা মাছ, ভাজা বড়ি ও ভাজা আলুর টুকরাগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে পাত্রের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে সবকিছু সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
৫. ঝোল কিছটা টেনে আসলে লবণ ও ঝাল ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে নিতে হবে।