নির্দিষ্ট একটি সময় পর চুল ট্রিম না করা হলে চুলের আগা ফেটে যায়। এর ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চুলের গ্রোথের উপরেও। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি লকডাউনের জন্য বাসাতেই থাকতে হচ্ছে সবাইকে। ফলে বাড়িতে বসে নিজেই নিজের চুল কাটার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অনেকেই। নিজের চুল নিজে কাটা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম জানা থাকলে কাজটি সহজ হয়ে যায় অনেকখানি।
চুল কাটতে চাইলে চিরুনি ব্যবহার করতে হবে একদম চিকন দাঁতের। এতে করে চুল ভালোভাবে আঁচড়ানো হয় এবং সিঁথি কেটে চুল ভাগ করতে সুবিধা হয়। প্রায় সবার বাসাতেই দুই-তিনটা কাঁচি থাকে। চুল কাটার জন্য সবচেয়ে ধারাল কাঁচি বেছে নিতে হবে। এতে করে এক গোছা চুল কাটার জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না।
বাসায় চুল কাটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ও প্রধান ভুলটা করা হয়- শুকনো চুল কাটা। শুকনো চুল অসমান থাকবে আঁচড়ানো হলেও এবং চুল সঠিক মাপে কাটার সময় তাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। এ কারণে পার্লারে চুল কাটার আগে সবসময় পানি স্প্রে করে চুলকে ভিজিয়ে আর্দ্র ও নরম করে নেওয়া হয়। এতে করে সহজেই চুল কেটে নেওয়া যায় এবং মাপেও ঠিক থাকে।
উপরের দুইটি বিষয় ঠিকঠাক থাকলে এরপর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হল চুল সঠিক মাপে কাটা। এক্ষেত্রে মাথার মাঝ বরাবর সিঁথি করে চুল সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এবারে আয়নার দিকে না তাকিয়ে থুঁতনি বুকের কাছে এনে প্রথমে এক অংশের চুল পছন্দমত মাপে কেটে এরপর কেটে নেওয়া পাশের সাথে মিলিয়ে অন্যপাশের চুল কাটতে হবে। এতে করে চুল অসমান হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
লকডাউনে বাসায় থেকে নতুন কিছু করার ইচ্ছা অন্য ক্ষেত্রে কাজে লাগালে সমস্যা নেই, কিন্তু চুলকে সেই লিস্ট থেকে বাইরে রাখতে হবে। স্ট্রেইট শেপে চুল কাটা ব্যতীত অন্য স্টাইলে (ইউ শেপ, ভি শেপ, লেয়ার) চুল কাটতে গেলেই গরমিল হবে। ইউটিউবে বহু টিউটোরিয়ালে দেখা যায় খুব সহজেই এই সকল শেপে চুল কাটা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে নিজে হাতে করতে গেলে বোঝা যায়, কাজটি অতটাও সহজ নয়। এবং ততক্ষণে বহু দেরি হয়ে চুলের বারোটা বেজে যায়। তাই চুলের আগা ছেটে রাখার জন্য কিংবা নিতান্ত সময় কাটানোর জন্যে হলেও স্ট্রেইট শেপেই চুল কাটতে হবে।