ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা শুধুই ঘরের সৌন্দর্যের জন্য নয়। এর সাথে জড়িত থাকে নিজের ও পরিবারের সকলের শারীরিক সুস্থতাও। ঘর ও ঘরের অনুষঙ্গ যতটা পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে, রোগজীবাণু থেকে দূরে থাকা যাবে। পরিষ্কারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চকচকে ভাবের দিকে খেয়াল রাখা এ কারণেই যথেষ্ট নয়। সাথে জীবাণু ধ্বংসের বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে হাতের কাছে ও ঘরে থাকা সহজলভ্য কিছু জিনিসেই জরুরি এই কাজটি সেরে নেওয়া সম্ভব।
রাবিং অ্যালকোহল মূলত সার্জিক্যাল স্পিরিট বা স্পিরিট নামে পরিচিত। যেকোন ফার্মেসিতেই সহজলভ্য এই জিনিস। একইসাথে ঘরের বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার ও জীবাণু ধ্বংস করতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে এই স্পিরিট বা রাবিং অ্যালকোহল ও হোয়াইট ভিনেগারের মিশ্রণ। দরজা, জানালা, বিভিন্ন জিনিসের হাতল, ক্যাবিনেটসহ যে সকল স্থানে সহজেই হাত যায় সেখানে ব্যবহারের জন্য এই মিশ্রণটি প্রয়োজন হবে। মিশ্রণটি তৈরির জন্য এক কাপ রাবিং অ্যালকোহল, এক কাপ পানি ও এক টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
লকডাউনে ঘরে থাকার এ সময়ে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ওভেনের ব্যবহার হয় তুলনামূলক বেশি। ফলে দ্রুত তৈলাক্ত ও নোংরাও হয়ে যায় এবং এতে করে ওভেনে জীবাণুর বিস্তার বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে এবকটি স্প্রে বোতলের ১/৪ অংশ বেকিং সোডা ও বোতলের অর্ধেক অংশ পানি নিয়ে ঝাঁকিয়ে মিশ্রণটি ওভেনের ভেতরের পুরো অংশে কয়েকবার স্প্রে করতে হবে এবং আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর ব্রাশ কিংবা স্পঞ্জের সাহায্যে মুছে নিতে হবে।
প্রতিদিন যে লেবুগুলো খাওয়া হয় তার খোসা ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ ফেলনা এই জিনিসটা থেকে তৈরি করা যাবে চমৎকার জীবাণুনাশক ক্লিনার। ৩-৪ টি লেবুর খোসা ও দুই টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার একটি বড় পাত্রে নিয়ে পাত্রটি পানিতে ভর্তি করে ৩-৪ দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর এই পানি দিয়ে জানালার কাঁচ কিংবা আয়না পরিষ্কার করতে হবে। এতে কাঁচ তুলনামূলক চকচকে হবে এবং জীবাণু দূর হবে।
রান্নাঘরের সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়টা হল কিচেন সিংকে পানি আটকে যাওয়া বা সিংক ক্লগ হয়ে যাওয়া। এর ফলে সিংকে জীবাণুও বিস্তার পায় বেশি। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আধা কাপ ভিনেগার ও ৩/৪ কাপ শুকনো বেকিং সোডা সিংকে ঢেলে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই দুইটি উপাদান একসাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে ড্রেইনের ময়লাকে সরিয়ে ফেলবে। এতে করে সিংকে পানি জমে থাকবে না।