মোঘলদের মাঝে খাসির রেজালা ছিল অন্যতম রাজকীয় ও জনপ্রিয় একটি খাবার। কচি খাসি মাংসের ঘন ভুনায় তৈরি রেজালা পোলাও কিংবা পরোটার সাথে অমৃতসম স্বাদ এনে দেয়। এবারের ঈদের আয়োজনে খাসির রেজালা তৈরি করতে চাইলে দেখে নিন রেসিপিটি।
১. এক কেজি খাসির মাংস।
২. দুইটি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
৩. দুই টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা।
৪. তিন টেবিল চামচ টকদই।
৫. শাহী মসলা তৈরির জন্য গোটা মসলা ( দুইটি শুকনা মরিচ, একটি দারুচিনি স্টিক, ছয়টি এলাচ, চারটি লবঙ্গ, তিন চা চামচ গোটা জিরা, তিন চা চামচ গোটা ধনিয়া, ৬-৮টি গোলমরিচ)
৬. স্বাদমত লবণ ও চিনি।
৭. চার টেবিল চামচ কাজুবাদাম ও পোস্তদানা বাটা।
৮. কয়েক ফোঁটা গোলাপজল।
৯. ১/৪ কাপ তেল।
১০. দুই টেবিল চামচ ঘি।
১১. ৩-৪টি কাঁচামরিচ।
১২. রান্নায় ব্যবহারের জন্য গোটা মসলা (একটি বড় তেজপাতা, দুইটি এলাচ, একটি ছোট দারুচিনি, কয়েকটি গোলমরিচ)।
১৩. এক কাপ গরম পানি।
১. প্রথমে শুকনো কড়াইতে সকল গোটা মসলা ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। তিন মিনিট ভাজার পর মসলাগুলো গুঁড়া করে রেজালার জন্য বিশেষ শাহী মসলা তৈরি করতে হবে।
২. খাসির মাংস টকদই, আদা-রসুন বাটা, স্বাদমত লবণ, চিনি ও তৈরি করা তিন টেবিল চামচ শাহী মসলা দিয়ে অন্তত ৪ ঘণ্টার জন্য মেরিনেট করে রাখতে হবে।
৩. এবার পাত্রে তেল গরম করে এতে রান্নায় ব্যবহারের জন্য গোটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ সতে করে এতে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়তে হবে।
৪. পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে এতে মেরিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে উচ্চ জ্বালে ১০ মিনিট রাঁধতে হবে।
৫. মাংস নেড়েচেড়ে এতে কাজুবাদাম ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে মাঝারি আঁচে আরও ১০ মিনিট নাড়তে হবে। এরপর এতে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৬. ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে এতে কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে রেজালাতে ঝোল রাখা যাবে না, ঘন ভুনা হতে হবে।
৭. মাংসের ঝোল টেনে আসলে বাকি শাহী মসলা ও গোলাপজল মাংসের উপরে ছড়িয়ে নেড়ে দিতে হবে।
৮. এবারে মাংসের উপর ঘি ও শুকনা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে চুলার জ্বাল বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে ৩০ মিনিট রাখার পর পরিবেশন করতে হবে।