কিছু মানুষ রোজ ভোর পাঁচটায় নিয়ম করে জাগেন, এক্সারসাইজ করেন, দিনের কাজগুলোর লিস্ট বানিয়ে একের পর এক শেষ করেন। তারা একদমই সময় নষ্ট করেন না বলেই সফলতা কেবল তাদের হাতের মুঠোতেই ধরা দেয়।
এদিকে আপনি ইন্টারনেটের দুনিয়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। কখন যে ঘন্টা পেরিয়ে যায় ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস খেলতে গিয়ে আপনার খেয়ালই থাকেনা। লেখার শুরুতেই যাদের কথা বলা হলো, তাদের গল্প ফেসবুকে পড়ে আরো হতাশ হয়ে ভাবেন আপনাকে দিয়ে কি কখনো এমন কিছু হবে? আপনার যদি স্থির লক্ষ্য থাকে যেটা অর্জনের জন্য আপনি প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে প্রস্তুত, তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে এগোতে হবে। কিভাবে করবেন সে অভ্যাস?
নিজের ঠিক কোন অভ্যাসগুলো আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে দিচ্ছে না তার একটা তালিকা তৈরি করুন। আপনার রোল মডেলদের কোন অভ্যাসগুলো তাদের আজকের সফলতার পথে এগিয়ে নিয়েছে তার আরেকটি তালিকা করুন। এবার খুঁজে বের করুন তার কোনগুলো আপনার মধ্যে আছে এবং কোনগুলো তৈরিতে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুন: হতাশাকে বিদায় জানান সহজেই
একদিন ঘুম ভেঙেই পুরোপুরি অন্য মানুষ হয়ে যাওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। প্রথমে ছোট পরিবর্তন দিয়ে শুরু করলে তা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে হাল না ছাড়তে। প্রথমেই যদি আপনি তালিকার সবচেয়ে কঠিন কাজটি শুরু করেন আর সফল না হন, আপনার মনোবল নষ্ট হবে। তাই ছোট থেকেই শুরু করুন এবং যেভাবেই হোক সেই পরিবর্তনটি নিজের মধ্যে আনুন।
আপনি যদি জানেন যে মিটিং এ ফোন হাতে থাকলেই আপনি চট করে ফেসবুকে ঢুঁ মারবেন বা গেইম খেলতে হাত নিশপিশ করবে, ফোনটা রেখে যান আপনার ডেস্কে। অনেক মেইল জমেছে বলে কোনটারই রিপ্লাই দেয়া হচ্ছে না? রিপ্লাই দিতে বসার আগেই ঠিক করে নিন ঠিক কয়টি মেইলের রিপ্লাই দিয়ে এরপর উঠবেন। ধরা যাক, আপনি ১০টা মেইলের রিপ্লাই দেবেন ঠিক করে বসেছেন কিন্তু ৩টার পরই মনোযোগ চলে যাচ্ছে ফেসবুকের দিকে, তখন কিছুতেই নিজেকে লক্ষ্য থেকে সরতে দেবেন না। ১০টা শেষ হলে কিছুক্ষণ নিজের পছন্দের কোন কাজ করতে পারেন অল্প সময়ের জন্য। তারপর আবার প্ল্যান করে কাজে বসে যান।
কোন একটা নতুন নিয়মে নিজেকে অভ্যস্ত করতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক। এমনকি তিন দিন নিয়ম মেনে চতুর্থ দিনে ভুল করে আগের অভ্যাসের কাজটি করে ফেলা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। এমনটা হলে ‘আমাকে দিয়ে হবে না’ ভেবে আপনি যদি থেমে যান, কখনই আপনি নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হতে পারবেন না। এমন কিছু ভুলের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং ভুল শুধরে এগিয়ে যান। আর ঠিকমত নিয়ম মানতে পারলে নিজেকে ছোটখাট উপহার দিন। তাতে করে নিয়ম মানার আগ্রহ অটুট থাকবে।