বৃষ্টিবাদলার দিনে প্রথমেই মনে আসবে খিচুড়ির কথা। গরম খিচুড়ির সাথে ঝাল করে আলু ভর্তা আর একটা ডিম ভাজি হলে আর কি চাই। কিন্তু সবসময় ঝরঝরে খিচুড়ি নয়, পাতলা খিচুড়ি খেতেও বেশ ভালো লাগে। পোলাও চাল ও মুগ ডালের মিশেলে তৈরি পাতলা খিচুড়ির তুলনা অন্য কিছুর সাথে হয় না মোটেও। আজকের এমন বৃষ্টি দিনের রাতের আয়োজনে তৈরি করে নিতেই পারেন পোলাও চালের পাতলা খিচুড়ি।
১. আধা কাপ পোলাও চাল।
২. আধা কাপ মুগ ডাল।
৩. এক চা চামচ আদা বাটা।
৪. এক চিমটি হিং।
৫. একটি তেজপাতা।
৬. ৩-৪টি শুকনা মরিচ।
৭. আধা চা চামচ গোটা ধনিয়া।
৮. গুঁড়া মশলা (১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়া, এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া, এক চা চামচ জিরা গুঁড়া)।
৯. একটি বড় টমেটো কুঁচি।
১০. ৪-৫টি কাঁচামরিচ।
১১. অল্প মটরশুঁটি (ঐচ্ছিক)।
১২. ৩ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
১৩. দুই চা চামচ ঘি।
১৪. এক চা চামচ গরম মশলা।
১৫. পরিমাণমতো পানি।
১৬. স্বাদমতো লবণ।
১. চাল ও ডাল ভালোভাবে ধুয়ে এক ঘণ্টার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে জেতপাতা, গোটা ধনিয়া, শুকনা মরিচ ও আদা বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে এতে সকল মশলা গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। মশলা ভালোভাবে নেড়ে ও হালকা ভেজে এতে টমেটো কুঁচি ও পরিমাণমতো লবণ দিতে হবে।
৩. টমেটো সিদ্ধ হয়ে আসলে ও মশলার সাথে মিশে গেলে এতে ডাল ও চাপ দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে।
৪. চাল-ডাল ভাজা হয়ে গেলে এতে আড়াই কাপ পানি, লবণ, কাঁচামরিচ ও মটরশুঁটি দিয়ে নেড়ে চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে।
৫. পানিতে বলক আসলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং এ অবস্থায় ২০-৩০ মিনিট রাখতে হবে।
৬. যেহেতু খিচুড়ি পাতলা করে রান্না করা হবে, প্রয়োজন বুঝে এতে আরও পানি দেওয়া যাবে।
৭. খিচুড়ি হয়ে আসলে এর উপরে গরম মশলা গুঁড়া ও ঘি ছড়িয়ে ৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিতে হবে।