ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে আমাদের খাবার মেন্যুতে প্রাধান্য পায় মাংসের বিভিন্ন আইটেম। কোরবানি পরবর্তী বেশ অনেকদিন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের বিরিয়ানি, রেজালা আর কাবাবের উপস্থিতি থাকে বেশি প্রতিদিনের মেন্যুতে। মাংস তো অবশ্যই খেতে হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চলাও প্রয়োজন। কারণ কোরবানির রেড মিট (গরু ও খাসির মাংস) একবারে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তাই সুস্থতার খাতিরে ঈদ পরবর্তী সময়ে মানতে হবে কিছু সাধারণ নিয়ম।
গরু বা খাসির মগজ, ভুঁড়ি বা চর্বির বিভিন্ন আইটেম দেখতে যতই লোভনীয় লাগুক না কেন, নজর ফিরিয়ে নিন অন্য কোন আইটেমের দিকে। যত কঠিনই লাগুক না কেন, এই সচেতনতার সুফল আপনি অবশ্যই পাবেন।
সামনে রাখা বিরিয়ানি বা রেজালা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে খেয়েই যাচ্ছেন হয়তো। খাওয়ার সময় খুব ভাল লাগলেও খাওয়ার পর একসাথে এত তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না অনেকেই। শুরু হয় পেট ফাঁপা, ব্যথা, জ্বালাপোড়া সহ বিভিন্ন ধরণের পেটের সমস্যা। তাই নজর রাখুন কতটা খাচ্ছেন সেদিকে।
দাওয়াত তো চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাই দাওয়াত থেকে ফেরার পর মেটাবলিজম বাড়াতে পান করে নিতে পারেন ব্ল্যাক কফি বা গ্রিন টি। সকালে ঘুম ভেঙেই হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে পান করুন।
ভাবছেন মাংসের এত আইটেম রেখে সবজি খাব? বাদ দিয়ে নয়, বরং সাথে খাবেন যাতে করে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া না হয়। সবজির কিছু নতুন আইটেম রান্না করতে পারেন। এতে করে খাওয়ার আগ্রহ যেমন থাকবে, হজমের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও দূরে থাকতে পারবেন।
নিয়মিত রুটিন খানিকটা হলেও ধরে রাখুন ঈদের মাঝেও। দিনে ২০ মিনিট হাঁটুন। সাথে নিজেই করুন ঘরের কাজগুলো। এতে করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে না।