আবহাওয়া বদলের সঙ্গে বদলে যায় সুস্থ-অসুস্থতার ধরণও। বর্ষাকালে সাধারণ পেটের সমস্যা দেখা দেয় তুলনামূলক বেশি। কারণ এ ঋতুতে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন।
বিভিন্ন ধরণের সাইট্রাস ঘরানার ফলের (লেবু, কমলালেবু, গ্রেপফ্রুট) পাশাপাশি ক্যাপসিকাম, টমেটোর মত সহজলভ্য ও উপকারী প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান বেছে নিতে হবে বেশি পরিমাণে।
সকল ঋতুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতার ফলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এবং লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যেহেতু বর্ষাকালে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকে, অনেকেই পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দেন। এই কাজটি একেবারেই করা যাবে না।
এ মৌসুমে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে পারলেই নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব হবে। বাইরের খাবার মানেই অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেওয়া। বৃষ্টির দিনে ঘরোয়া খাবারই হবে সবচেয়ে সঠিক পছন্দ।
উপকারী বিভিন্ন ধরণের মসলা, যেমন- হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা, রসুন প্রভৃতি খাওয়ার উপর জোর দিতে হবে। এই সকল মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।