নেত্রকোনার হাওরে আনন্দ ভ্রমণে এসে বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিকালে মরদেহগুলো স্থানীয় মদন থানায় এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন নিহতদের স্বজনেরা। এ সময় তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
এদিকে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহগুলো শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে যারা নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা তাদের মরদেহ দাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ হাজার টাকা করে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। নিহতদের বেশির ভাগই ময়মনসিংহ সদরের চরসিকতা এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মদন থানার ওসি রমিজুল হক জানান, উদ্ধারকৃত ১৭ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে এবং আরো একজন নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তবে ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর নামক এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৪৮ জন একসাথে হাওরে আনন্দ ভ্রমণে এসে প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৩০ জন সাঁতরে জীবন বাঁচালেও নিখোঁজ হন ১৮ জন। পরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।