মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল নদীরপাড় এলাকায় বসবাস করেন সাজাহান ফকির (সাজা) ও ময়ুরী দম্পতি। তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকে। এই দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে ৪ জনই জন্ম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী।
জানা গেছে, এই দম্পতির বড় ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী বাচ্চু (৩৪) ও মেজো ছেলে নয়ন ফকির (৩২) গ্রামে মাটি কাটার কাজ করেন। আর বাকপ্রতিবন্ধী সেজো ছেলে দুলাল (৩০) আড়িয়াল খাঁ নদীতে খেয়া চালান। এছাড়া মেয়ে ভাগ্য বেগমও (২১) বাকপ্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে নয়ন ফকির ভাতা পান না।
সাজাহান ফকির জানান, তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে কথা বলতে পারে। এই দুই মেয়ের মধ্যে একজনের বিয়ে দিয়েছেন। আরেকজন তালাকপ্রাপ্ত। খুব কষ্টে তাদের সংসার চলে। নয়ন ফকির যদি একটা ভাতার কার্ড পেত তাহলে খুব উপকার হতো বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, বিগত অর্থবছর পর্যন্ত ভাতার বরাদ্দ কম ছিল। এজন্য একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ভাতা দেয়া হয়নি। তবে এ বছর সরকারিভাবে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই প্রতিবন্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাতার কার্ড দেয়া হবে।