কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা গ্রামের মনোয়ারা বেগমের স্বামী আবু তালেব ওরফে কালা মিয়া ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ৫ মেয়েকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন বিধবা এই নারী। তাদের ছিল না থাকার মতো ঘরও। কোনো মতে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে একটি নড়বড়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে জীবনযাপন করছিলেন তারা।
কিন্তু বিধবা মনোয়ারা বেগমের দুঃখ এবার কিছুটা কমেছে। তার ভাগ্যে জুটেছে নতুন একটি টিনের ঘর।
বিধবা ওই নারীকে নতুন ঘর তৈরি করে দিয়ে মানবিকতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী টিম সংশপ্তক।
জানা গেছে, মনোয়ারা বেগম তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বড় মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন না। বর্তমানে মনোয়ারা বেগম স্বামী পরিত্যক্তা এক মেয়ে, স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েসহ প্রতিবন্ধী এক নাতিকে নিয়ে থাকেন। স্বেচ্ছাসেবী টিম সংশপ্তকের পক্ষ থেকে ওই বিধবা মনোয়ারা বেগমকে একটি টিনের ঘর করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপার্জন করার জন্য বিধবার ছোট মেয়ে জোলেখা আক্তার ঝুমুরকে একটি সেলাই মেশিনও দেয়া হয়েছে।
মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। সংশপ্তকসহ যারা আমাকে সাহায্য করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
সংশপ্তক টিমের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে যখন বিধবা ওই নারীর ঘরটি চোখে পড়ে, তখন খুব খারাপ লেগেছিল। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে তাদের বাঁচতে হতো। পরে সংশপ্তক টিমের পক্ষ থেকে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। মূলত যারা সংশপ্তক টিমকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’