পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার মুহুরীজোত এলাকায় গত তিনদিন ধরে চলছে বাঘ আসার আতঙ্ক। গেল বুধবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার কাউসার আলম নামে এক কৃষককের গরু বাঘের আক্রমণে মারা গেছে। ফলে বাঘ উদ্ধারের জন্য রাতদিন কাজ করছে বন বিভাগ। কিন্তু মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বাঘের আক্রমণের ভয় যেন নেই দেখতে আসা মানুষের মধ্যে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ অবাধে পরিত্যক্ত চা বাগান ও জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যেমন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির আশঙ্কা অন্যদিকে বাড়ছে অজ্ঞাত বাঘের আক্রমণর শঙ্কা।
শুক্রবার ( ২১ আগস্ট) দিনভর দেখা গেছে মানুষের এমন সমাগমের চিত্র। তাছাড়া বাঘ আসার আতঙ্কের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, গত তিন ধরে মহুরি জোত এলাকার মানুষ বাঘের আতঙ্কে দিনরাত্রি অতিবাহিত করছে। এদিকে বাঘ আসার আতঙ্কে স্থানীয়রা ভয়ে আছে সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সী মানুষ এসে অবাধে ঘন জঙ্গল ও পরিত্যক্ত চা বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে কারণ যেহেতু বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু হয়েছে সেক্ষেত্রে যে কোন সময় মানুষকে আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এবিষয়ে কথা হয় বাঘ দেখতে কয়েকজনে সাথে, তারা জানান আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি এই পরিত্যক্ত চা বাগান ও জঙ্গলে বাঘ আছে তাই আমরা দেখতে আসছি।
তবে সচেতন মহলের দাবি প্রশাসন উচিত মানুষকে এভাবে পরিত্যক্ত চা বাগানে অবাধে ঘোরাঘুরি করা বন্ধ করা। কারণ এতে সধারণ মানুষগুলো করোনার ঝুঁকিতে তো আছেই তারপরও যে কোনো সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হতে পারে তাই তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, আমরা বন বিভাগের উদ্যোগে বাঘ উদ্ধারের চেষ্টা করছি। বাঘ উদ্ধার হলে তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে সংরক্ষণ করা হবে।