বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (২৪ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিএসসির ৩০৫তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএসসিকে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নতুন ছয়টি জাহাজ বিএসসিতে নবজাগরণের সৃষ্টি করবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে তিনি পরামর্শ দেন।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) আরও ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি অয়েল ট্যাংকার ও দু’টি বাল্ক ক্যারিয়ার। অয়েল ট্যাংকারগুলোর মধ্যে দু’টির ধারণক্ষমতা প্রতিটি ১,১৪,০০০ মেট্রিক টন ও অন্য দু’টির ৮০,০০০ মেট্রিক টন । বাল্ক ক্যারিয়ার (জাহাজ) এর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৮০,০০০ মেট্রিক টন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম আহসান, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ মোমেনা মনি, বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির, বিএসসির নির্বাহী পরিচালক অর্থ, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বিএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে ‘বাংলার দূত’ ও ১৯৭৩ সালে ‘বাংলার সম্পদ’ অর্জনের মাধ্যমে বিএসসি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল। বয়সজনিত কারণে এবং বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রয়/ হস্তান্তরের পর দু’টি জাহাজ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ছয়টি নতুন জাহাজ সংগ্রহের ফলে বর্তমানে বিএসসির বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে।