পর্যায়ক্রমে সকল রুটের যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১৯ জোড়া আন্তনগর ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
যে ১৯ জোড়া ট্রেন চলবে সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর গোধুলী/ প্রভাতী এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তৃণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা- বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস
এছাড়াও খুলনা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রুটে লোকাল, খুলনা-গোলালন্দঘাট-খুলনা রুটে নাকশিকাথা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর- চট্টগ্রাম রুটে সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী- পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরাএক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মহুয়া কমিউটার, খুলনা- বেনাপোল-খুলনা রুটে বেতানা এক্সপ্রেস।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিলো। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে এখন মোট ৩০ জোড়া, অর্থাৎ ৬০টি ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১৮ জোড়া এবং আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ১৯ জোড়া ট্রেন রেলের বহরে যুক্ত হলে সব মিলিয়ে চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৭ জোড়া অর্থাৎ ১৩৪টি।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সুসম্পন্ন বন্ধ থাকবে।
আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মত একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। বিক্রীত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেওয়া হবে না