বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে তার পরিবার যে আবেদন করেছে সেটা দেখে ও তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদিও আবেদনটি এখনো হাতে পৌঁছায়নি বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিনে নয়, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মানবিক কারণে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছে সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন। যেহেতু আগামী সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ ছয় মাস (খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ) শেষ হয়ে যাবে, তারা সেটির এক্সটেনশন চেয়েছেন। আবেদনটি আমরা বিবেচনা করব।
দুদকের দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। চলতি বছরের ২৫ মার্চ তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। এই সময় তার সাজা স্থগিত রেখেছে সরকার। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির ছয় মাস শেষ হবে।