ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাঝে দেশীয় উৎপাদিত পেঁয়াজ ও দেশীয় চিনি কলের উৎপাদিত চিনি বিক্রির আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই আহবান জানিয়েছে ক্যাব।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, টিসিবির খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাধ্যমে পেঁয়াজ ও চিনি বিক্রিতে বারবার আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও চিনি বিক্রি করা হয়। এর কারণে আমদানিকৃত এই দুটো পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। পেঁয়াজের আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রিতে আগ্রহী নয়। কারণ দেশীয় পেয়াঁজ বাজারজাত করলে তারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়াতে পারবে না। ফলে দেশীয় কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং পেঁয়াজ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি হলে দেশীয় পেয়াঁজ বাজারজাত হবে, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে এবং দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত হবে। পেঁয়াজের মতো কৃষি পণ্যের জন্য পরনির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে দেশীয় চিনি কলের বিপুল পরিমান চিনি অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। চিনি অবিক্রিত থাকার কারণে শ্রমিকরা তাদের বেতন পাচ্ছে না। আখ চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধে চিনিকলগুলি ব্যর্থ হচ্ছে। আর চিনি আমদানির কারণে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা এখাতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও সাদা চিনিগুলি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেশীয় আখের চিনি খাবার পরামর্শ দিলেও চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অব্যবস্থাপনায় ও বাজারজাতকরণে চরম উদাসীনতায় দেশীব্যাপী এই চিনি বাজারজাত হচ্ছে না।
এ অবস্থায় টিসিবির খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাধ্যমে দেশীয় আখের চিনি সরবরাহ করা হলে চিনি কলগুলি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশের জনগণও স্বাস্থ্য সম্মত চিনি পাবে।