তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির সাম্প্রতিক নানা বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, বিএনপি অতীত ভুলে যায় বলেই লাগামহীন বক্তব্য দেয়। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আট বছরের শিশু থেকে অন্তঃসত্ত্বা এমনকি ষাট বছরের নারী পর্যন্ত বিএনপির লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। যারা দলগতভাবে অতীতে নারী নির্যাতন-ধর্ষণ করেছে, তাদের মুখে এ নিয়ে কথা হাস্যকর।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অতীতের এ ধরনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে, এখনকারগুলোরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর’ জানান তিনি।
শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ ও চট্টগ্রাম বেতারের পরিচালক এসএম আবুল হোসেন।
‘নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না’ -বিএনপি মহাসচিবের এ মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উনারা আমাদেকে সময় দিচ্ছেন না বহু আগে থেকে। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের তিন মাসের মাথা থেকে উনারা আমাদেরকে কখনো সময় দিতে চাননি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আমাদের সময় দিয়েছে। এবং প্রায় পৌনে ১২ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, সুতরাং বিএনপি সময় দিলো কি না, সেটি বড় ব্যাপার নয়, জনগণ সময় দিচ্ছে কিনা সেটিই মুখ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার পর্ষদে ৩৩ শতাংশ নারীর জন্য সংরক্ষিত কোটা তিনিই করেছিলেন এবং সংসদে নারী সদস্যের সংখ্যা পঞ্চাশে উন্নীত করা, দেশের ইতিহাসে প্রথম স্পিকার, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নারীর পদায়ন শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে, যা পৃথিবীর সামনে বড় উদাহরণ।
মন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ বেতার দেশ বিনির্মাণে ও আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি লালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আশপাশে পাহাড়সহ নানা কারণে ফেনীতেও চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যায় না। কিন্তু চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ নানা কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংবাদ ও অনুষ্ঠানের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আপলিংক-ডাউনলিংক করে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সারা দেশে শোনার ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তথ্যমন্ত্রী।