ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত প্রতিটি মামলার তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ।
শনিবার (১০ অক্টোবর) পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের কয়েকটি জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধের প্রেক্ষিতে যুব সমাজের মধ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামগ্রিক চলমান বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিতে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একইভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে প্রতিটি মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করছে পুলিশ। যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ সকল মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আদালতের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল অপরাধীর যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, সরকার জন-আকাঙ্খা অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে দ্রুততার সঙ্গে আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি প্রত্যাশা করে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া আরও জনানো হয়, সরকার ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা সত্ত্বেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তৎপর রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশাকে কৌশলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে ওই গোষ্ঠী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে পায়তারা করছে। তাই দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে রাষ্ট্র বিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড সতর্কভাবে পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যে কোনো মূল্যে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর বলেও জানানো হয়।