মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জেল থেকে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে উকিলের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গেস্ট হাউজে নিয়ে ২৫ বছরের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ শনিবার (১০ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে ধর্ষণের অভিযোগে ভুনবীর ইউনিয়নের আঐ গ্রামের মৃত ছুরুক আলীর ছেলে কাজল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের মৃত রহমান মিয়ার ছেলে মতিন মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের হামিদা গেস্ট হাউজে ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জেল খানায় আমার স্বামীকে দেখাতে আমার প্রতিবেশী কাজল মিয়া ও মতিন মিয়া আমাকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে তারা আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার জন্য একজন উকিলের সাথে দেখা করতে বলে। উকিলের সাথে দেখা করে তারা আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনবে বলে জানায়। পরে আমি তাদের সাথে যাই। তারা আমাকে শ্রীমঙ্গল শহরের হামিদা গেস্ট হাউজে নিয়ে একটি রুমে বসায়। অনেকক্ষণ বসার পর তারা দুজনে আমার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের শিশুটিকে অন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে একজন একজন করে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তারা আমাকে গেস্ট হাউজে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যাই। পরে আমি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানে আমার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। আমি অসুস্থ থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারিনি। তবে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার এক এস আই আমার সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন। আমি গতকাল তাদের নামে থানায় অভিযোগও করি।
শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ করার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তদের উপজেলার আমরাইলছড়া থেকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আজ মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।