এনআইডি জালিয়াতি: দুইজন চাকরিচ্যুত, মামলা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-29 15:55:45

অবৈধভাবে ভোটার করার প্রচেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা ও সদর উপজেলার দুইজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) আইডিইএ প্রকল্পের কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট জুনি. মো. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যন্সিং একসেস টু সার্ভিসেস আইডিইএ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের মাধ্যমে ভোটার করায় লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু ও সদর থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ করেছেন প্রকল্প পরিচালক।

তার প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর রবিবার রাত ১১ টার দিকে ঐ দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আজাদুল হেলাল।

মামলার বিবরণে বলা হয়, লালমনিরহাট অফিসের কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আরেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর সাথে যোগসাজশে অনিবাসী/ঠিকানাবিহীন ব্যক্তিকে অবধৈভাবে ভোটার করার চেষ্টা করে।

গত ২০ জুন সকাল সাড়ে দশটার দিকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল বাবু ও এস এম আজম শাহী ভোটারদের উপজেলা সার্ভার কক্ষে নিয়ে এসে ভোটার নিবন্ধন করাতে দেখতে পান উপজেলা সদর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজাদুল হেলাল। এসময় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাছে মোছা. আফরোজা বেগম, মো. মাসুম ও মো. সোহেল নামে ৩ টি আবেদন ফরম দেখতে পান, পরে সার্ভার যাচাই করে অল্প সময় আগে নতুন ভোটার হওয়ার নিবন্ধন ডাটা পাওয়া যায়।

আর্থিক প্রলোভনে পড়ে তারা গোপনে ভোটারদের ডেকে এনে নিবন্ধন করেছেন বলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারে কাছে স্বীকার করেন। পরে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উক্ত দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিকট বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে অফিসে এসে ভোটার অযোগ্য ব্যক্তির নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক ডাটা গ্রহণের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও জবাব চাওয়া হয়। প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইন সংগত না হাওয়া তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ ছাড়া অনিয়ম করে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই দিন মো. মমতাজ উদ্দিন, মোছা. জাহানারা বেগম ও মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে তিনজন ব্যক্তি অফিসে উপস্থিত না হয়েই ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদন করেন। এছাড়া তাদের আবেদন ফর্মে কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল না। পাশাপাশি ১৩ নম্বর ফর্মের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হলেও দ্বিতীয় পৃষ্ঠার পরিবর্তে পুনরায় প্রথম পৃষ্ঠা আপলোড করা হয়েছে। যা নিয়ম বহির্ভূত বলে এনআইডি উইং এর কাছে প্রতীয়মান হয়। উপরোক্ত বিষয়েও ব্যাখা চাওয়া হলে প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইন সংগত না হাওয়ায় এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর