নওগাঁয় অসুস্থ গরু জবাই, কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
নওগাঁর বদলগাছীতে অসুস্থ গরু জবাই করার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কোলা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস্য।
উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্য অসুস্থ ওই গরুটি জবাই করে ব্যবসায়ী। অনাদায়ে ১৫ দিন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন।
এদিকে এতো অল্প টাকা জরিমানা করায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষ হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের অভিযোগ এখানকার কসাইয়েরা বারবার অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। উপস্থিত করোনা কর্মকার বলেন, অল্প জরিমানা করলে এদের হবেনা। বেশি জরিমানা করতে হবে। অথবা জেল দিতে হবে। নয়তো এরা বারবারই এমন কাজ করবে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কসাইয়েরা অসুস্থ গরুটিকে জবাই করে। এই সময় বাজারে আসা লোকজন গরুটিকে জবাই করতে দেখে নিষেধ করলেও শোনে না। অসুস্থ গরু জবাই হলে সাথে সাথে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন নাজমুল হাসান এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আর প্রশাসন এসে নাম মাত্র জরিমানা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ বলেন, কোলা গ্রামের রিপন গরুটি কোলাহাট থেকে কিনে। এরপর ইসমাইল পুর গ্রামের লবা, বিতু, কালাম এবং সাবেক মেম্বার নজরুল কসাই ভাগাভাগি করে গরুটিকে এনে জবাই করে। এর আগেও এরা অসুস্থ গরু জবাই করার কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাগর বলেন, এই হাটে প্রায় অসুস্থ গরু এনে জবাই করে এবং অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করে কসাইরা। এর আগেও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কসাইরা প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক পশু জবাইয়ের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই গরু জবাই করে থাকে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুল নামে এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিষেধ করেছি। পরবর্তীতে এমন কাজ পুনরায় হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।