প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও বৃক্ষ নিধনের কারণে ভেঙে যায় পাখির বাসা। ফলে অনেক পাখিই বাসা বাঁধতে পারে না। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে তারা। পাখির প্রতি ভালোবাসার টানে রাজবাড়ী জেলা সদরের সজ্জনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা পাখিপ্রেমী সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক সালেহীন পাপুন পাখি সংরক্ষণের জন্য আশ্রয়হীন পাখিদের জন্য তিনি গাছে গাছে কলস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
‘এসো পাখির বন্ধু হই’- এই শ্লোগান বুকে ধারণ করে তিনি রাজবাড়ীর বেশ কিছু জায়গায় প্রায় শতাধিক গাছে গাছে সকল বেঁধে দিয়েছেন। এসব কলসে দোয়েল, বুলবুলি, ঘুঘু, পেঁচাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির পাঁখি বাসা বাঁধবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি ।
তার এই মহতি উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ১৫ জন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পাখিপ্রেমী মানুষ। এ উদ্যোগে ভালো ফলাফল আসলে আগামীতে রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন এলাকায় আরো বড় পরিসরে পাখি রক্ষায় হাজার হাজার কলস স্থাপন করা হবে তারা জানান।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাজবাড়ী শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠের পাশে পরিবারের খরচের টাকা বাঁচিয়ে নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু গাছে শতাধিক কলস বেঁধেছেন তাঁরা।
এ কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক পাপুন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, একদিনর একটি ঝড়ে আমার বাসায় একটি পাখির বাসা ভেঙ্গে যায়। তখন মা আমাকে পাখির বাসাটি মেরামতের জন্য বলেন। সেই থেকে পাখির প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। তাছাড়া শহরে পাখির ডাক বর্তমানে তেমন শোনা যায় না। পাখির কিচিরমিচির ডাক, পাখিদের উড়তে দেখা সবার ভালো লাগে। তাদের যদি নিরাপদ আবাসস্থল না থাকে তাহলে শহর থেকে পাখি একদিন হারিয়ে যেতে পারে। এসব কথা ভেবে পাখিদের আবাসস্থল করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পাপুনের সৃষ্টিশীল চিন্তা থেকে আমরা বেশ কয়েকজন তার পাঁশে দাড়িয়েছি। গাছে গাছে কলস বাঁধায় পাখিরা বাঁসা বাঁধবে, পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে। এতে করে শহর এলাকায় পাঁখির বিচরণ বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারি ডিগ্রী কলেজের (অব:) শিক্ষক আবু মুসা বিশ্বাস, কবি নেহাল আহম্মেদ, রাজবাড়ী ডিবেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক উদ্দীন, সাংবাদিক দেবাশীষ বিশ্বাস প্রমুখ।